TRENDING:

Krishnagar Jagadhatri Puja 2022|| ২৫০ বছরে পা দিল কৃষ্ণনগরের ঐতিহ্য বুড়িমা, দেখুন ভিডিও

Last Updated:

Krishnagar Jagadhatri Puja Burima: আড়াইশো বছরের পদার্পণ কৃষ্ণনগরের চাষা পাড়ার বুড়িমা, পরানো হয়েছে প্রায় ৮-৯ কেজি সোনার অলংকার, যার মুল্য কয়েক কোটি টাকা।

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
#নদিয়া: কৃষ্ণনগরের জগদ্ধাত্রী পুজোর ঐতিহ্য ও আবেগের নাম চাষাপাড়া 'বুড়িমা'। কৃষ্ণনগর রাজবাড়ীর পুজোর প্রচলনের পর থেকেই চাষাপাড়া বারোয়ারি অর্থাৎ বুড়িমার পুজো হয়ে আসছে। কথিত আছে,  রাজা কৃষ্ণচন্দ্র কোনও একসময় এই পুজোর খরচ ও ব্যয়ভার নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়ে গিয়েছিলেন।
advertisement

কীভাবে বহন করবেন এত খরচ? মা জগদ্ধাত্রী দেবী রাজা কৃষ্ণচন্দ্রকে স্বপ্নাদেশ দেন। চাষাপাড়ার যে সমস্ত লেঠেলরা আছেন তারাই দেবীর জগদ্ধাত্রী পুজোর আয়োজন করবেন। রাজবাড়ির জগদ্ধাত্রী পুজো শুরুর কয়েক বছরের মধ্যেই এখানকার পুজো শুরু হয়েছিল বলে দাবি উদ্যোক্তাদের। তবে বুড়িমা নামটা সত্তর পঁচাত্তর বছর আগে দেওয়া হয়েছিল বলে প্রবীণদের অভিমত।

আরও পড়ুনঃ সোনা-হীরেতে মোড়া কৃষ্ণনগরের 'বুড়িমা', অলংকারের পরিমাপ-দাম শুনলে চমকে উঠবেন

advertisement

কৃষ্ণনগরের জগদ্ধাত্রী পুজোর সেরা আকর্ষণ 'বুড়িমা'। এখানকার পুজো নিয়ে রাজা কৃষ্ণচ্ন্দ্র আলাদা করে স্বপ্নাদেশ পেয়েছিলেন এ রকম গল্প কোথাও নেই। তবে রাজা নিজের বাড়ির পুজোকে অন্যদের মধ্যে ছড়াতে উৎসাহী প্রজাদের অনুদান দিতেন। এ পুজোর নাম ছড়িয়েছে গোটা দেশে, এমনকি বিদেশের বাঙালি ভক্তদের মধ্যেও। বর্তমানে সাধারণ মানুষের দান এবং চাঁদাতেই বুড়িমা পুজো সম্পন্ন হয়।

advertisement

View More

জগদ্ধাত্রী পুজোর আগের দিন থেকে অসংখ্য ভক্ত দেশ তথা রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে কৃষ্ণনগরে চলে আসে বুড়িমা দর্শনে। জাগ্রত দেবী বুড়িমার ভিড় সামলাতে প্রশাসনকে হিমশিম খেতে হয়। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে পুজোর দিন দান স্বরূপ নগদ অর্থ, শাড়ি এবং স্বর্ণ অলংকার নিয়ে মানুষ মনের কামনা বাসনা পূরণ করতে আসে। অনেকের মনস্কামনা পূর্ণ হয় বলেই এখনও পর্যন্ত জাগ্রত দেবীকে সকলে মেনে চলে।

advertisement

আরও পড়ুনঃ খোকাবাবুর খেলাঘরের 'নায়ক' ভুবন! সুপারহিট যাত্রাপালার কয়েক ঝলক ফাঁস! দেখুন

কৃষ্ণনগরে বুড়িমাকে নিয়ে রয়েছে অনেক অলৌকিক কাহিনী। দেবীর আগমন থেকে বিসর্জন সবেতেই রয়েছে এক অনন্য সৃষ্টি। দেবী বিসর্জন কৃষ্ণনগরের সমস্ত প্রতিমা আগে বিসর্জন হবে সবার শেষে বুড়িমা। বুড়িমা যতক্ষণ না পর্যন্ত বিসর্জন হয় রাস্তার দুই ধারে ঠায় দাঁড়িয়ে থাকে ভক্তকুল। কড়া পুলিশ প্রহরায় নিরাপত্তারক্ষীরা দেবী জগদ্ধাত্রীকে নিয়ে যান জলঙ্গীর ঘাটে।

advertisement

পুজোর আগের দিন সন্ধ্যেবেলাতেই দর্শনার্থীদের ঢল চোখে পড়ার মতো। বুড়িমার গেটের বাইরে থেকেই অগণিত মানুষের ভিড় লক্ষ্য করা যাচ্ছে ইতিমধ্যেই। এ বছর প্রায় ৭-৮ কেজি সোনার অলংকার প্রতিমাকে পরানো হয়েছে। এ ছাড়াও ভক্তদের বেশ কিছু মানসিক অলংকার ও পড়ানো হয়েছে বলেও জানা গিয়েছে। বুধবার নবমীর পুজো দেওয়ার জন্য ইতিমধ্যেই দর্শনার্থীরা একে একে লাইন দিয়ে কুপন কেটে পুজো দেওয়ার টোকেন সংগ্রহ করছেন।

পুলিশ প্রশাসনে অতি তৎপরতার সাথে ভিড় সামাল দিচ্ছেন। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গেই কৃষ্ণনগরের রাজপথে গাড়ি, টোটো ইত্যাদির প্রবেশ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে প্রশাসনের পক্ষ থেকে। বলা যেতে পারে দীর্ঘ দুই বছর পর আবারও পুরনো ছন্দে ফিরে এসেছে কৃষ্ণনগরের ঐতিহ্য।

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
'আসছে বছর আবার হবে'! দিঘার সমুদ্রে বিলীন দেবী দুর্গা, ঢেউয়ের গর্জনে মিশল বিদায়ের সুর
আরও দেখুন

Mainak Debnath

বাংলা খবর/ খবর/নদিয়া/
Krishnagar Jagadhatri Puja 2022|| ২৫০ বছরে পা দিল কৃষ্ণনগরের ঐতিহ্য বুড়িমা, দেখুন ভিডিও
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল