রাধীন ভারতবর্ষের আমল থেকে আজও চরকায় সুতো কেটে আসছেন মানোদা বসাক। পশ্চিমবঙ্গ সরকারের মাননীয় মন্ত্রী শশী পাঁজা তার হাতে এই বিশেষ সম্মান সার্টিফিকেট ও আর্থ তুলে দেন। বৃদ্ধার নাতি গোবিন্দ বসাক জানান,"এ বিষয়ে যোগাযোগ করিয়ে দেন রাষ্ট্রপতি পুরস্কার প্রাপ্ত বীরেন বসাকের পুত্র অনুভব বসাক। এদিন বিভিন্ন পেশায় নারীদের ভূমিকা সম্পর্কে পর্যালোচনা এবং তাদের সম্মানিত করা হয়।" ঠাকুমা এমন সম্মাব পাওয়ার গর্বিত নাতিও।
advertisement
পরিবারের সদস্যরা জানান,"মানদা দেবীর বয়স ১০০ বছর ছুঁই ছুঁই। এখনও পর্যন্ত তিনি যথেষ্ট সাবলীল। চরকায় সুতো পাকিয়ে সহযোগিতা করে পরিবারকে। নাতি ও ছেলে হস্ত চালিত তাঁত বুনেই কোনরকম সংসার চালান। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা মাঝেমধ্যে বাড়িতে এসে সামান্য খোঁজ খবর নিয়ে যান। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রীর বিভিন্ন প্রকল্প থেকে এখনও বঞ্চিত তারা। তবে এই সাহায্য ও সম্মান পাওয়া খুশি পরিবারের সকলেই।"
আরও পড়ুনঃ IPL 2023: যুবরাজ-পাঠানদের খিদে মেটাতে কী হাল হয়েছিল প্রীতি জিন্টার, ১৪ বছর পর 'রহস্য ফাঁস'
মানোদা বসাকের পরিবার নিয়ে পঞ্চায়েত প্রধান জানান, তাঁর আধার কার্ডের একটি সমস্যার কারণে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার টাকা পেতে একটু সমস্যা তৈরি হয়। আগামীতে তিনি যেন দ্রুত বার্ধক্য ভাতার সুবিধা পায় সেটাই চেষ্টা করছি আমরা। এখন দেখার মানদা দেবীর পরিবার কত তাড়াতাড়ি সরকারি প্রকল্পগুলির সুবিধা পায়। জীবনের শেষ কটা দিন যেন একটু সুখে কাটাতে পারেন মানদা বসাক, এটাই চাইছেন গ্রামবাসীরা।
Mainak Debnath