বিয়ের কয়েক মাস পরেই শুরু হয় সাংসারিক অশান্তি। গত কয়েক মাস থেকে প্রিয়াঙ্কা বারিক সৌরভ দাস কে ডিভোর্স দেওয়ার কথা বলে এবং সেই সঙ্গে খোরপোষ হিসাবে ৫ লক্ষ টাকা দাবি করে।
আরও পড়ুন: বিশেষ ভাবে সক্ষমদের কৃত্রিম অঙ্গদান! ঘটনা জানলে চোখে জল আসবে
মৃত যুবকের পরিবারের অভিযোগ, কান্দিতে মধুসূদন দত্ত নামক এক ব্যক্তির বাড়িতে কাজ করে সেই সঙ্গে টোটো চালিয়ে এবং মাঝে মধ্যে জলও বিক্রি করে সংসার চালাত সৌরভ। বিয়ের কিছুদিন পরেই ডিভোর্সের জন্য চাপ দিতে থাকে প্রিয়াঙ্কা ও তার বাবা-মা।
advertisement
সঙ্গে সন্তান থাকার দরুন পাঁচ লক্ষ টাকারও দাবি করা হয় পরিবারের পক্ষ থেকে। কিন্তু সামান্য আয়ের ওপর সংসার চালিয়ে পাঁচ লক্ষ টাকা দেওয়া সম্ভব নয় বলাতে অভিযুক্তরা তার উপর শারীরিক ও মানসিক অত্যাচার শুরু করে বলে অভিযোগ।
অনামিকা দাস সৌরভের ছোট দিদি জানায়, এদিন রাত্রী ৮ টা নাগাদ মধুসূদন দত্তের বাড়িতে কাজ করা কালীন ৩ জনেই সেখানে গিয়ে অশান্তি শুরু করে। শারীরিক ভাবেও অত্যাচার করা হয় যুবককে। তারপর সে বাড়ি ফিরে রাত্রের খাবার খেয়ে ঘরে চলে যায়৷ সৌরভের মা পাশের বাড়িতে ছিল এবং তার বাবা বাড়িতেই ঘুমোচ্ছিলেন। সেই সময় নিজের ঘরে গিয়ে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করে সৌরভ।
আরও পড়ুন: শিলাবৃষ্টি আর পোকায় ব্যাপক ক্ষতি বেগুন চাষে! বিপাকে কৃষকরা
অনামিকা আরও জানায়, তার ভাইয়ের মৃত্যুর জন্য তার শ্বশুর বাড়ীর লোকেরাই দায়ী এবং তাদের নামে কান্দি থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। অপর দিকে ব্যবসায়ী মধুসূদন দত্ত জানান, সৌরভ তাঁর বাড়িতে দীর্ঘদিন ধরে কাজ করতেন। গত ১ বছর থেকে নানান ভাবে তার উপর অত্যাচার করতেন তার শ্বশুরবাড়ির লোকেরা। গত রাত্রেও তাঁর বাড়ির সামনে ঝামেলা হয়। তারপর বাড়ি গিয়েই চরম পরিনতি হয় যুবকের।
শনিবার সকালে সৌরভের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কান্দি মহকুমা হাসপাতাল মর্গে পাঠায় পুলিশ । ময়না তদন্তের পর দেহ তুলে দেওয়া হয় পরিবারের সদস্যদের হাতে ।ঘটনার জেরে শোকের ছায়া নেমে এসেছে গোটা এলাকায় ।
কৌশিক অধিকারী