সরকারি সহায়তা নেই। চাষ পদ্ধতি শেখানোর জন্যে কর্মশালাও নেই। চারা কিনতে গিয়ে ঠকতেও হয়েছে। এত সবের পরেও লাভের মুখ দেখেছেন আপেল কুলের চাষিরা। মুর্শিদাবাদের হরিহরপাড়া থানার শ্রীপুর গ্রামে আপেল কুল চাষ করছেন এনামুল সেখ নামে এক চাষী। ফলে আপেল কুল চাষ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। এবারের মরসুমে গ্রামের বেশির ভাগ চাষিই আপেল কুল চাষ করতে চাইছেন।
advertisement
আরও পড়ুন: অল্প সময়ে বিকল্প রোজগারের পথ দেখাচ্ছে হুগলির মাশরুম চাষ
কৃষিবিদদের মতে, উর্বর বা অনুর্বর জমিতে কম খরচে সহজে আপেল কুল চাষ করা যায়। তবে, চাষের আগে চাষিদের সঠিক জাতের চারা নির্বাচন করতে হবে। নতুন চাষিরা গাছ লাগানোর আগে ভালো প্রতিষ্ঠান বা সংস্থা থেকে গুণমানের চারা লাগাতে পারলে ভালো ফলন পেতে পারেন।
আরও পড়ুন: টেডি ডে-তে বিনিয়োগ করুন বিয়ার মার্কেটে, দেখে নিন লাভ করবেন কীভাবে!
মুলত বর্ষার পর কাশ্মীরি আপেল কুলের চারা লাগানো উচিত। সেপ্টেম্বর থেকে অক্টোবর পর্যন্ত এর চারা বোনা হয়। গাছ থেকে গাছ ও সারি থেকে সারির দূরত্ব ১০ ফুট বাই ১০ ফুট রাখতে হবে। বিঘা প্রতি ২০০টির বেশি গাছ লাগানো যাবে। আকারে ছোট হওয়ায় গাছটি খুব সহজে পরিচর্যা করা যায়।পাশাপাশি, আপেল কুল চাষে ঘন ঘন সেচ প্রদানের দরকার হয় না। মাটিতে রস পর্যাপ্ত থাকলেই এর ফলন সঠিক থাকে। তবে মাটি একদম শুষ্ক যেন না থাকে, মাটির অবস্থা বুঝে জল দিতে হবে।
কৃষি দফতরের মতে, বছরে দুইবার ফলন পাওয়া যায়। রোপণের ১০ মাসের মাথায় চারাগুলো পরিপক্ব হয়। ১২ মাসের মাথায় গাছে ফুল আসে। গাছে প্রথম বছরেই বিঘা প্রতি ৬০-৭০ কেজি ফল উৎপাদন হয়ে থাকে। পরবর্তীতে গাছের বয়সের সঙ্গে সঙ্গে উৎপাদন বাড়তে থাকে।গাছগুলো পরিপক্ব হলে প্রায় ১০ বছর পর্যন্ত ফল পাওয়া যায়। প্রায় ৭০ টাকা কেজি পাইকারিতে আপেল কুল বিক্রি হয়। সুতরাং, এর চাষ করে কৃষকবন্ধুরা ভালো পরিমাণ অর্থ উপার্জন করতে পারবেন।
তবে, টক মিষ্টি সাধের আপেল চাষ করে লাভের মুখ দেখবেন বলে আশাবাদী উদ্যোক্তা এনামুল। বর্তমানে এই আপেল কুল চাষ করে নতুন করে জীবিকার পথ দেখছেন কৃষক বলে জানা গিয়েছে।
কৌশিক অধিকারী