Teddy Day: টেডি ডে-তে বিনিয়োগ করুন বিয়ার মার্কেটে, দেখে নিন লাভ করবেন কীভাবে!

‘বিয়ার মার্কেট’ কী? সহজ কথায় বিয়ার মার্কেট হল এমন বাজার যার দাম পড়ছে। বিনিয়োগকারীরা কোম্পানির শেয়ার বিক্রি করে অদূর ভবিষ্যতে দাম কমার আশায়। কিন্তু বাজার কতটা পড়বে? ইউএস সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (এসইসি) বিয়ার মার্কেটকে এমন পরিস্থিতি হিসাবে সংজ্ঞায়িত করে যেখানে ‘বিস্তৃত বাজার সূচক কমপক্ষে দুই মাসের মধ্যে ২০ শতাংশ বা তার বেশি হ্রাস পায়’।

আরও পড়ুন: স্বস্তি ফিরবে কি জ্বালানি তেলের দামে? দেখে নিন কলকাতায় আজ পেট্রেল ডিজেলের দর

বুল মার্কেটের সঙ্গে পার্থক্য: বুল মার্কেটে বিনিয়োগকারী শেয়ার কেনেন দাম বাড়ার আশায়। যাতে পরে দাম বাড়লে মোটা টাকায় বিক্রি করে লাভ করতে পারেন। বিয়ার মার্কেটে দাম কমে। বাজারকে এমন নামে ডাকার পিছনে মজার কারণ আছে। বিয়ার বা ভাল্লুক আক্রমণের সময় দুপা পিছিয়ে যায়। আর বুল বা ষাঁড় আক্রমণের সময় শিং উপরের দিকে নিয়ে যায়। এই কারণে বিনিয়োগকারীদের ধরন অনুযায়ী তাঁদের বুল বা বিয়ার বলা হয়। কমোডিটি মার্কেট, স্টক মার্কেট এবং বন্ড মার্কেট সহ সব ধরনের মার্কেটে বিয়ারিশ সেন্টিমেন্ট প্রয়োগ করা যেতে পারে।

বিয়ারিশ বৈশিষ্ট: স্টক মূল্য হ্রাস পায় (দুই মাসের মধ্যে ২০ শতাংশ বা তার বেশি), দুর্বল অর্থনীতি, বিনিয়োগকারীদের আস্থা হ্রাস, বিনিয়োগকারীদের হতাশা, বেকারত্ব বৃদ্ধি।

আরও পড়ুন: কিশোর-কিশোরীরা করুক এই ব্যবসা, হাতখরচের টাকাও আসবে, পড়ার খরচও চাইতে হবে না!

উদাহরণ: বেশ কিছু বিনিয়োগকারী তাঁদের বিয়ারিশ বৈশিষ্টের জন্য বিখ্যাত। যেমন পিটার শিফ। ওয়াল স্ট্রিটে তিনি ‘কুইন্টএসেনসিয়াল বিয়ার’ নামে পরিচিত। পেশায় স্টক ব্রোকার। বিনিয়োগের উপর বেশ কয়েকটি বই লিখেছেন। শিফ স্টকে বিনিয়োগ নিয়ে হতাশ। সোনা এবং পণ্যের মতো ক্ষেত্রে বিনিয়োগ পছন্দ করেন। ২০০৮-এর মন্দার আগাম ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন শিফ। ২০০৬ সালের অগাস্ট মাসে তিনি মার্কিন অর্থনীতিকে টাইটানিক-এর সঙ্গে তুলনা করেন। তবে এটাও ঠিক- শিফ তাঁর জীবনে এমন অনেক ভবিষ্যদ্বাণী করেছেন যেগুলোর বেশিরভাগই মেলেনি।

বিয়ার মার্কেট থেকে লাভ হয় কীভাবে: বিয়ার মার্কেট মানে বিনিয়োগকারীরা মনে করেন এটা নিচে যাবে। বা মার্কেট সম্পর্কে তাঁরা হতাশ। কিন্তু বিয়ার মার্কেটে স্টক বা ইটিএফ বিক্রি করে লাভবান হওয়া যায়। এর মধ্যে শেয়ার ধার করা এবং তারপরে সেগুলি বিক্রি করা, সেগুলিকে কম দামে কেনার এবং ঋণদাতার কাছে শেয়ার ফেরত দেওয়া রয়েছে। এছাড়াও ইটিএফ এবং মিউচুয়াল ফান্ড রয়েছে, যেগুলো বাজারের পতনের সময় বৃদ্ধি পায়। ডেরিভেটিভ ব্যবহার করা যায়, যেমন পুট অপশন কেনা বা ফিউচার বিক্রি করা।