মুর্শিদাবাদ জেলার তিনটি লোকসভা আসনে মহিলা বুথের বুথের সংখ্যা ৪২২টি। তার জন্য ২২০০ জন মহিলা ভোট কর্মী নিয়োগ করবে কমিশন। গত বিধানসভা নির্বাচনের থেকেও এবার মহিলা বুথের সংখ্যা অনেকটাই বেশি। যেখানে সুরক্ষা ও যাতায়াত ব্যবস্থা ভালো সেখানেই মহিলা ভোট কর্মী নিয়োগ করা হবে। তবে শুধুমাত্র ডোমকল ও ধুলিয়ান ছাড়া সমস্ত পুরসভাতেই মহিলা ভোট কর্মী দ্বারা ভোট কেন্দ্র নিয়ন্ত্রণ করা হবে। এছাড়াও, বিডিও অফিস সংলগ্ন এলাকায় মহিলা দ্বারা ভোটগ্রহণ কেন্দ্র করা হবে বলেই জানা গিয়েছে।
advertisement
মুর্শিদাবাদে ৩ কেন্দ্রে লোকসভা নির্বাচনে কাজ করবেন ২৮ হাজার ৪৬০ জন ভোট কর্মী। ৭ মে হবে মুর্শিদাবাদ ও জঙ্গিপুর লোকসভা কেন্দ্রে ভোট। ১৩ মে ভোট হবে বহরমপুর লোকসভা কেন্দ্রে। একই সঙ্গে ৭ মে হবে ভগবানগোলা বিধানসভা উপনির্বাচন। জেলাশাসক রাজর্ষি মিত্র জানিয়েছেন, এবছর মুর্শিদাবাদের ৩ কেন্দ্রে মোট ভোটারের সংখ্যা ৫৬ লক্ষ ৯৩ হাজার, ৮১৮ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ২৮ লক্ষ, ৯০ হাজার, ৩৮৫ জন। মহিলা ভোটার সংখ্যা ২৮ লক্ষ , ৩ হাজার, ৩৩০ জন। তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার সংখ্যা ১০৩ জন।
বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন ভোটারের সংখ্যা ৫৭ হাজার ৭৩২। ৮৫ বছরের ঊর্ধ্বের ভোটার সংখ্যা ২৬ হাজার ২৪৪। মুর্শিদাবাদ ও জঙ্গিপুর লোকসভা কেন্দ্রে মনোনয়ন পত্র জমা করা যাবে ১২ এপ্রিল থেকে, মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ দিন ১৯ এপ্রিল। মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিন ২২ এপ্রিল। অন্যদিকে, বহরমপুর লোকসভা কেন্দ্রে মনোনয়ন জমা দেওয়া যাবে ১৮ এপ্রিল থেকে। মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ২৫ এপ্রিল। মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিন ২৯ এপ্রিল।
ভগবানগোলা বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচনে মনোনয়ন শুরু হচ্ছে ১২ এপ্রিল থেকে। মনোনয়ন জমা দেওয়া যাবে ১৯ এপ্রিল পর্যন্ত। মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিন ২২ এপ্রিল। নির্বাচন শান্তিপূর্ণ করতে মুর্শিদাবাদে ভারত বাংলাদেশ সীমান্তে ১৯টি জায়গায় নাকা চেকিং পয়েন্ট করা হয়েছে। অন্যদিকে ঝাড়খণ্ড সীমান্তে ৬টি জায়গায় হবে নাকা চেকিং পয়েন্ট।
আরও পড়ুন: মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসের ভাই স্বরূপের বাড়িতে সাতসকালে আয়কর হানা! কী অভিযোগ?
সব মিলিয়ে ২৫টি জায়গায় নাকা চেকিং পয়েন্ট করা হচ্ছে। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, সুবিধা পোর্টালের মাধ্যমে সভা মিটিং মিছিলের আবেদন করতে হবে। বিনা অনুমতিতে কোন সভা করা যাবে না। এই ভোট প্রক্রিয়া পরিচালনা করার জন্য ২৬ হাজার ২৬০ জন পুরুষ ভোটকর্মী ও ২ হাজার ২০০ মহিলা ভোট কর্মী কাজ করবেন। মোট ২৮ হাজার ৪৬০ জন ভোট কর্মী কাজ করবেন। মোট ৫ হাজার ৮৯০ টি ভোটগ্রহণ কেন্দ্র হবে। এর মধ্যে ১১ টি অক্সুলারি ভোট গ্রহণ কেন্দ্র।
কৌশিক অধিকারী