রবিবার ওই বাবাজির দরবারে রাজু দাস নামে বছর পঁয়ত্রিশের এক ব্যক্তিকে নিয়ে আসেন তার পরিবারের সদস্যরা। ওই ব্যক্তির বাড়ি কান্দি শহরের ভোলানাথপুর এলাকায়। তাকে বাবাজির কাছে নিয়ে আসার কারণ হিসেবে পরিবারের সদস্যরা দাবি করেছেন, তার শরীরে নাকি ভর করেছে আত্মা!
advertisement
দাবি, একটি নয়, দু-দুটি আত্মা ভর করেছে রাজুর শরীরে। তারপর থেকেই সে বাড়িতে তাণ্ডব শুরু করে, এমন দাবি পরিবারের। তার এই ব্যাপক তাণ্ডবে অতিষ্ঠ হয়ে ওঠেন পরিবারের সদস্যরা এবং শেষমেষ ভূত তাড়াতে নিয়ে আসেন বাবাজির দরবারে।
স্থানীয়দের কথায়, ময়ূরাক্ষী নদীর মধ্যে অবস্থিত ওই বাবাজির দরবারের তলায় নাকি আত্মাদের পীঠস্থান! সেখানেই বসবাস করেন নানু সাধু। সেই নানা সাধুর মন্ত্র পড়া, জল পড়া ইত্যাদির ফলে অশরীরী আত্মার থেকে মুক্তি মেলে। রবিবারও সেই একই অবাক করা কান্ড ঘটতে দেখা গেল। রবিবার দেখা যায় রাজু দাসের ভিতরে থাকা দুই অশরীরী আত্মাকে টেনে বের করার জন্য কার্যত মুখে জুতো দিয়ে বটগাছের তলায় ছেড়ে দেন ওই সাধু। তারপরই এমন সব ঘটতে থাকে, যা ফিল্মের স্ক্রিপ্টকেও হার মানাবে!
বর্তমানে অত্যাধুনিক এবং বিজ্ঞানের যুগে এসব যে কুসংস্কার তা ভুলে গ্রাম গঞ্জের মানুষেরা এই কান্ড দেখতে হাজির হন এবং তা দেখে হতভম্ব হয়ে যান। যদিও এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে এখনও পর্যন্ত বিজ্ঞান মঞ্চের কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
প্রতিবেদনঃ কৌশিক অধিকারী