ওঁরা রং মাখেন। দুনিয়া দেখে কত রঙ্গ। রং না মাখলে পেট চলবে না। তাই রঙের সঙ্গে গ্রামের বন্ধুত্ব অনেকদিনের। বর্তমানে সনাতন বহুরূপী সাজের পাশাপাশি এসেছে নানা পৌরাণিক, আধুনিক ও সামাজিক অনুষঙ্গও। ছেলেদের পাশাপাশি মেয়েরাও এগিয়ে এসেছেন এই শিল্পকে বাঁচিয়ে রাখতে। লাভপুরের শুভ বাজিগড়, বীরভূমের এই পেশার সঙ্গে যুক্ত নিয়মিত বহুরূপী সেজে অনুষ্ঠান করেন। অনুষ্ঠান করেন তাঁদের মেয়েরাও।
advertisement
আরও পড়ুন:বহরমপুরে বদলের হাওয়া! বৃহস্পতিবারই আসছেন ইউসুফ পাঠান, দেওয়াল ভরে গিয়েছে তৃণমূলের গ্রাফিতিতে
বহুরূপী খুব প্রাচীন জীবিকা। তবে কত প্রাচীন তা কেউ বলতে পারে না। অবশ্যই বিচিত্র জীবিকা। ইতিহাসবিদেরা বলেন, আদিম মানুষরা পশু শিকারের সময় নিজেদের দেহ মৃত পশুর চামড়া, নখ, দাঁত ইত্যাদি দিয়ে ঢেকে নিত। তাতে পশুরা তাদের মানুষ বলে চিনতে পারত না। এই ঘটনাকে আমরা ‘ছদ্মবেশ’ বলতে পারি। আমাদের সারাদেশেই ছড়িয়ে আছেন এই বহুরূপীরা।
আরও পড়ুন:মহিলাদের জন্য বড় আয়োজন! জেলার তিনটি লোকসভা কেন্দ্রে মহিলা বুথ ৪২২..কী কী ব্যবস্থা প্রশাসনের?
এই রাজ্যের বর্ধমান, বীরভূম, বাঁকুড়া, হুগলি জেলায় আছেন বেশ কয়েকজন। তবে বীরভূম থেকে মুর্শিদাবাদের খড়গ্রাম, কান্দি সহ বিভিন্ন গ্রামে গিয়ে তারা কলা কুশলী দেখান, কোনও রকমে টিকিয়ে রেখেছেন তাদের পেশাকে। একটু হলেও গ্রামে গ্রামে ঘুরে ঘুরে মানুষ কে মনোরঞ্জন দেন। যা অর্থ পান তা দিয়েই চলে তাদের সংসার। তবে বর্তমানে অনেকেই মুখ ফিরিয়েছে আক্ষেপের সুর তাদের গলায়।
আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F
কৌশিক অধিকারী