স্বাধীনতা দিবসের ৭৫তম বর্ষ পূর্তির আগে স্বাধীনতা সংগ্রামী তথা স্বাধীন ভারতবর্ষের প্রথম শিক্ষামন্ত্রী মৌলানা আবুল কালাম আজাদের পূর্ণাবয়ব মূতির উদ্বোধন করা হল কান্দি বাসস্ট্যান্ড এলাকায়। উদ্বোধন করলেন কান্দি বিধানসভার বিধায়ক অপূর্ব সরকার । কান্দি পৌরসভার উদ্যোগে তৈরি এই মুর্তি উন্মোচন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কান্দি বিধানসভা বিধায়ক অপূর্ব সরকার কান্দি পৌরসভার পৌর প্রধান জয়দেব ঘটক, একাধিক পৌরসদস্য ও বিশিষ্টজনেরা। আগামী প্রজন্মের সামনে স্বাধীনতা সংগ্রামী ও মনীষীদের সম্পর্কে তথ্য তুলে ধরতে এই উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে বলে জানান অপূর্ব সরকার। এদিন মুর্তি উন্মোচনের পাশাপাশি এলাকার বিশিষ্ট নাগরিকদের সংবর্ধনা জ্ঞাপন করা হয়।
advertisement
আরও পড়ুন - Independence Day: অনুষ্কাকে সঙ্গে নিয়ে বিরাট, হার্দিক থেকে নিখাত, মীরাবাই স্বাধীনতা দিবসে বিশেষ পোস্ট
১১ই নভেম্বর ১৮৮৮ সালে মক্কায় মৌলানা আবুল কালাম আজাদের জন্ম হয়। তাঁর প্রকৃত নাম আবুল কালাম গুলাম মহিউদ্দিন আহমেদ বিন খাইরুদ্দিন আল হুসেইনি আজাদ। মৌলানা আজাদের ছোটো বেলা কাটে কলকাতায়।১৮৯০ সাল থেকে তাঁর পরিবার কলকাতায় বসবাস করতে শুরু করেন। বাড়িতেই তাঁর প্রাথমিক শিক্ষা শুরু হয়। মৌলানা আজাদ নিজের কর্ম জীবন শুরু করেন সাংবাদিক হিসেবে। সাংবাদিক জীবনের শুরুতে তিনি ‘ভাকিল’ নামে একটি সংবাদপত্রের চাকরি করতেন। ১৯১৮ সালে গান্ধীজি হিন্দু মুসলিম সম্প্রীতি গড়ে তোলার জন্য খিলাফত আন্দোলনকে অসহযোগ আন্দোলনের সাথে যুক্ত করেন।
আরও পড়ুন - জামালপুরে নৌকাডুবি, মিলল দ্বিতীয় যুবকের দেহ, এলাকায় শোকের ছায়া
১৯৩০ সালের লবণ সত্যাগ্রহের আজাদ বহু মিছিল সংগঠিত করেছিলেন। ১৯৩৫ এবং ১৯৩৭ সালের জাতীয় নির্বাচনের সময় তিনি নিজে প্রার্থী হিসেবে দাঁড়াতে চাননি বরং এই সময়ে তিনি ভোটের জন্য প্রচারকার্যে অংশ নেওয়া, অনুদান সংগ্রহ ইত্যাদির কাজে আগ্রহী ছিলেন। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর ১৯৫২ সালের লোকসভা নির্বাচনে তিনি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন ও জয়লাভ করেন। ১৯৫৬ সালে দিল্লিতে অনুষ্ঠিত ইউনেস্কোর সাধারণ সম্মেলনে তিনি ছিলেন সভাপতি। ১৯৫৮ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি দিল্লিতে তাঁর মৃত্যু হয়। মৌলানা আবুল কালাম আজাদ ১৯৯২ সালে মরণোত্তর ভারতরত্ন পুরস্কার পান।
KOUSHIK ADHIKARY





