আরও পড়ুন: ডায়মন্ডহারবারে প্রথম আয়োজিত হল বাচিক শিল্পীদের কর্মশালা
চাষিরা শসা, পটল, লাফা, বোরা থেকে শুরু করে ফুলকপি, ধনেপাতা সহ বিভিন্ন সবজি ও কলাই চাষ করেছিলেন জমিতে। কিন্তু এই অকাল বর্ষণের জেরে বিপুল ক্ষতির মুখে পড়েছেন চাষিরা। বেশিরভাগ চাষের জমি এই মুহূর্তে জলের তলায়। ফলে প্রায় কোনও ফসলই রক্ষা করা যাবে না বলে চাষিদের আশঙ্কা। এই প্রসঙ্গে বেলডাঙার কৃষক সুজিত মণ্ডল বলেন, অকাল এই বৃষ্টিতে জমিতে জল জমে সব শেষ হয়ে গেল। প্রায় হাজার দশেক টাকার ক্ষতি হয়ে গেল পুজোর আগে।
advertisement
এই বছর ধান চাষে খরার বছর। পাট চাষেও লাভের মুখ দেখতে পাননি না চাষিরা। এরপর টানা বৃষ্টিতে ব্যাপক ক্ষতি হল সবজি চাষের। বৃষ্টিতে সবজি মাঠে মারা গেল। এই অবস্থায় সংসার চালাতে এবং অস্তিত্ব বজায় রাখতে সরকারের কাছে সাহায্য চাইছেন অসহায় কৃষকরা।
এদিকে অসময়ের প্রবল বৃষ্টিতে সবজি চাষের ব্যাপক ক্ষতি হওয়ায় বাজারে পটল, ঢ্যাঁড়শ, শসা, ফুলকপি, ধনেপাতা সহ সমস্ত শাক-সবজির যোগানে টান পড়েছে। ফলে দাম বাড়ছে লাফিয়ে লাফিয়ে। দুর্গাপুজোর আগে কাঁচা সবজির বাজার আবার অগ্নিমূল্য।
এই বিষয়ে বহরমপুর মহকুমা কৃষি আধিকারিক আনিকুল ইসলাম জানান, বৃষ্টি প্রকৃতির খেয়াল, এই বিষয়ে আমাদের কারোর হাত নেই। এই অকাল বর্ষা সবজি চাষিদের জন্য দুর্ভাগ্যের। নিম্নচাপের বৃষ্টিতে সবজি বাঁচাতে জমির জল বাইরে বের করার পাশাপাশি জমিতে ছত্রাক নাশক স্প্রে ব্যবহার করা উচিত।
কৌশিক অধিকারী