এই যাত্রা শুরুর ১ বছর ৩ মাস পর অনিলরা পৌঁছেছেন মুর্শিদাবাদের ফরাক্কাতে। দেশকে প্লাষ্টিকমুক্ত রাখার বার্তা দেওয়ার জন্য তাঁর সঙ্গী দুই নাবালিকা মেয়ে শ্রেয়া চৌহান ও উপ্তি চৌহান। গত এক বছর ধরে বাবার সঙ্গে ভারতের বিভিন্ন প্রান্তে ঘুরে মানুষকে প্লাষ্টিকমুক্ত সমাজ গড়ার বিষয়ে বোঝাচ্ছে।
পরিবেশের কথা ভেবে এমন এক গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ করা অনিল চৌহান কিন্তু খুব সচ্ছল পরিবারের সদস্য নন। তিনি পেশায় একজন জেলে। স্ত্রীর মৃত্যুর পর দুই মেয়েকে নিয়ে সাইকেলে করে বেরিয়ে পড়েন ভারত যাত্রায়। মালদহ হয়ে অনিল সদ্য পৌঁছেছেন মুর্শিদাবাদে। তাঁর লক্ষ্য আগামী চার মাসের মধ্যে নিজের শহর দিউ-তে ফিরে যাওয়া।
advertisement
আরও পড়ুন: চাষের সময় হঠাৎ পাওয়ার টিলার খারাপ হলে কী করবেন? কৃষকদের দেওয়া হচ্ছে মেকানিকের প্রশিক্ষণ
ইতিমধ্যেই উত্তর-পূর্ব ভারতের একাধিক রাজ্য ঘুরে মানুষকে প্লাস্টিকের বিপদ সম্পর্কে সচেতন করে এসেছেন অনিল। এদিকে বাবার সঙ্গে সাইকেলে করে ভারত ভ্রমণ করলেও অনিলের দুই মেয়ে অনলাইনে ঠিক পড়াশোনা চালিয়ে যাচ্ছে।
অনিল চান, সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিকের ব্যবহার চিরতরে বন্ধ হোক। এই প্লাস্টিকের কারণেই বাড়ছে গরু মৃত্যুর সংখ্যা। তাঁর এই ভারত দর্শন কীভাবে চলছে তা জানাতে গিয়ে অনিল চৌহান বলেন, খাবারদাবারের বন্দোবস্ত করে দেন স্থানীয়রাই। দমন-দিউয়ে আমার গ্রামের লোকেরা যখন জানল আমি মেয়েদের নিয়ে সাইকেল যাত্রায় বেরোচ্ছি, সকলে খুব হেসেছিল। কিন্তু আমি একে দায়িত্ব হিসাবে নিয়েছিলাম। মায়ের মৃত্যুর পর মেয়েদের কার ভরসায় রেখে আসতাম? অনিলের এই উদ্যোগ ইতিমধ্যেই সারা ফেলেছে।
কৌশিক অধিকারী