একসময় তীব্র যানজট থেকে শহরবাসী, পর্যটক কিংবা পরিবহন কর্মী সবাইকে মুক্তি দিতে সাংসদ তথা তৎকালীন রেল প্রতিমন্ত্রী অধীর রঞ্জন চৌধুরী চুঁয়াপুর রেল গেটের ওপর উড়ালপুল তৈরির উদ্যোগ নিয়েছিলেন ২০১৪ সালে। রেল দপ্তর থেকে প্রয়োজনীয় অনুমোদনও পেয়েছিল এই ওভারব্রীজ। সাড়ে সাঁইত্রিশ কোটি টাকা বরাদ্দে সেই মতো কাজও শুরু হয়েছিল। কিন্তু রাজনৈতিক দলদলিতে বারবার থমকে গিয়েছে কাজ।
advertisement
আরও পড়ুনঃ টানা ৫ দিনের মরণপণ লড়াই! সাপে কামড়ানো শিশুকে বাঁচালেন চিকিৎসকরা
অবশেষে উড়ালপুল তৈরি হয়ে পড়ে থাকলেও তা খুলে দেওয়া হয়নি সাধারণের জন্য। বহরমপুর শহরবাসী চাইছেন, দ্রুত চালু হোক এই রেল ওভারব্রীজ । তাহলে নিত্যদিনের যে যানজট তা হয়তো কমতে পারে। মেডিকেল কলেজ যাওয়ার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এই রাস্তায় রেল গেটের কারণে দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করতে হয় রোগীদের। স্কুল পড়ুয়াদেরও অপেক্ষা করতে হয় ঘন্টার পর ঘণ্টা। যানজট-দুর্ঘটনা লেগেই থাকে।
আরও পড়ুনঃ কান্দি রাজা বীরেন্দ্র চন্দ্র কলেজের প্রতিষ্ঠা দিবস পালন
প্রশাসনিক গাফিলতি এবং রাজনৈতিক দড়ি টানাটানির ফলেই এই দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে বলে অভিযোগ। বহরমপুর পৌরসভার চেয়ারম্যান নাড়ুগোপাল মুখার্জি অবশ্য জানিয়েছে, মেডিকেল কলেজের দিক থেকে সেতুতে ওঠার মুখেই রয়েছে বিবেকানন্দ স্ট্যাচু। ওই স্ট্যাচু সরানো হলেই খুলে দেওয়া হবে সেতু। দীর্ঘ আট বছরের টালবাহানার পর তৈরি হওয়া সেতুর শীঘ্রই উদ্বোধন চাইতে শহরবাসী। তাঁদের দাবী পুজোর আগেই খুলে দেওয়া হোক বহরমপুর রেল ব্রীজ।
KOUSHIK ADHIKARY