তবে দিদির সুরক্ষা কবচ কর্মসূচি নিয়ে মানুষের কাছে হাজির হয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়ার সামনে পড়তে হল তৃণমূল কর্মীদের। কোথাও তাঁরা সাদর সম্ভাষণ পেলেন, আবার কোথাও বিক্ষোভের মুখে পড়লেন বিধায়ক। তবে বহু জায়গাতেই গ্রামের মানুষ সুষ্ঠুভাবে নিজেদের সমস্যার কথা তুলে ধরেছেন তৃণমূল বিধায়ক সাংসদদের সামনে।
বৃহস্পতিবার মুর্শিদাবাদের খড়গ্রামের বিধায়ক আশিস মারজিত, রঘুনাথগঞ্জের বিধায়ক আখরুজ্জামান, ভরতপুরের বিধায়ক হুমায়ুন কবির সহ অন্যান্যরা জেলার ৭ টি বিধানসভা কেন্দ্রের ৭ টি পঞ্চায়েত পরিদর্শন করেন। 'দিদির সুরক্ষা কবচ'কর্মসূচির রূপরেখা মেনে তৃণমূল নেতা বিধায়করা প্রথমে ধর্মীয় স্থান পরিদর্শন করেন। এরপর তাঁরা দফরপুর, বালিয়া, বড়সিমুল দয়ারামপুর, আখরিগঞ্জ, মালিবাড়ি-১, বিপ্রশেখর এবং সালু পঞ্চায়েতের সদস্যদের সাথে কথা বলেন। বৃহস্পতিবার স্বামী বিবেকানন্দর জন্মদিন থাকায় তাঁর প্রতিকৃতিতে মাল্যদান করেন তৃণমূল বিধায়করা।
advertisement
আরও পড়ুন: যক্ষা আক্রান্তের দুয়ারে হাজির হবেন চিকিৎসক! চা বাগানে রাজ্যের বিশেষ উদ্যোগ
এই কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে ভগবানগোলার তৃণমূল বিধায়ক ইদ্রিস আলি বলেছেন, "বাংলার মানুষ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কল্যাণমূলক প্রকল্পে খুশি। কারণ সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেস সর্বদা জনগণের মঙ্গলের জন্য কাজ করে। আমাদের বিরুদ্ধে বেশ কিছু মানুষ সবসময় মিথ্যে তথ্য ছড়ায়। শুধু আমাদের বদনাম করার জন্য। এর কারণ হল, তারা সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেসের মত কখনই সামাজিক উন্নয়নের জন্য কাজ করে না।"
অন্যদিকে, বড়ঞার বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহা, বিপ্রশেখর গ্রাম পঞ্চায়েতে মধ্যাহ্নভোজের সময়, স্থানীয়দের অনেক কথা মন দিয়ে শোনেন। তাঁকে ঘিরে বিক্ষোভও দেখান গ্রামবাসীদের একাংশ। এই প্রসঙ্গে জীবনকৃষ্ণ সাহা বলেন, "আমি জনগণের উদ্বেগ ও অভিযোগ শুনেছি। অবশ্যই মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে সমস্যাগুলি উত্থাপন করব।" তিনি আরও যোগ করেছেন, "আমরা এখানে মানুষের দেখাশোনা করতে এবং তাদের সমস্যাগুলি শুনতে এসেছি। তাই এখানে মানুষ এসে তাদের অভাব অভিযোগের কথা জানাবেন এটাই স্বাভাবিক।"
কৌশিক অধিকারী





