জানা গিয়েছে, পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে বুথ কমিটির বৈঠক ছিল। আর সেই বুথ কমিটির বৈঠকে জড়ো হওয়ার আগে তৃণমূলের দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে দুইপক্ষের মোট পাঁচজন জখম হয়েছে। পরে সেখানে বড়ঞা থানার পুলিশ পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ দিকে এই ঘটনার জেরে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায়। গুরুতর আহত অবস্থায় সকলকেই প্রথমে বড়ঞা ব্লক গ্রামীণ হাসপাতালে ও পরে কান্দি মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে চিকিৎসার জন্য।
advertisement
আরও পড়ুন: পরিশ্রুত জলের অভাব, বাধ্য হয়ে আর্সেনিকযুক্ত জলই পান করছে
স্থানীয় সূত্রে খবর, পঞ্চায়েত সদস্য মোসলিম শেখ সহ দুই পক্ষের মোট ৫ জন গুরুতর আহত হন। লাঠি ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করা হয়।গুরুতর আহত পঞ্চায়েত সদস্য মোসলিম শেখ জানান, 'তৃণমূলের বুথ কমিটির বৈঠক নিয়ে এই বচসা তৈরি হয়। আর সেই বচসা নিয়েই হাতাহাতি হয়। হাসিবুল মল্লিক ও তার দলবল নিয়ে হামলা চালিয়েছে। তারা কোনও দিন তৃণমূলের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন না। হঠাৎই তাঁরা এখন তৃণমূল করছেন। আর আমাদের ওপর অতর্কিত ভাবে চড়াও হয়ে আক্রমণ করে ওরা। আমাকে ও আমার ছেলেকে মারধর করা হয়েছে।'
যদিও আহত আর এক তৃণমূল কর্মী হাসিবুল মল্লিকের অভিযোগ, 'গ্রামে আবাস যোজনা নিয়ে দুর্নীতি করেছেন পঞ্চায়েত সদস্য। কাটমানি খেয়ে ছিলেন। আমরা তার প্রতিবাদ করেছি। সেই প্রতিবাদের জেরেই এই হামলা।এই ঘটনায় আহত হয়েছেন আসলিম সেখ, সাজাহাজন, আকবর সেখ, মোসলিম সেখ ও হাসিবুল মল্লিক গুরুতর আহত হন। সবাইকেই উদ্ধার করে প্রথমে বড়ঞা ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ও পরে কান্দি মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে চিকিৎসার জন্য। বর্তমানে কান্দি মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন আহতরা। কী কারণে এই হামলার ঘটনা, তার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ প্রশাসন । যদিও এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কাওকে গ্রেফতার করা হয়নি বলে পুলিশ জানিয়েছে।ট
কৌশিক অধিকারী






