আগে জঙ্গল আকৃতি মধ্যে এই মন্দির থাকলেও এখন কাল ও নিয়মের সঙ্গে পরিবর্তিত আধুনিক যুগের সঙ্গে মন্দির ও তৎসংলগ্ন এলাকা আজ আধুনিক ছোঁয়া লেগেছে। মন্দিরের সেবাইতরা জানান, এক হাজার বছর আগে বল্লাল সেনের আমলে কোন এক পরিব্রাজক সন্ন্যাসী নাগাল্যান্ড থেকে নদী পথে যাওয়ার সময় এখানে বসে তপ্যাসা করছিলেন। তখন তপ্যাসা চলাকালীন বিভিন্ন রুপে তার ধ্যান ভঙ্গ করতে থাকেন কিন্তু পরবর্তীতে ধ্যান ভঙ্গ হতেই ব্যাঘ্র রুপে মা দক্ষিণাকালী শিলা মুর্তি দেখতে পাওয়া যায় তখন থেকেই এই ব্যাঘ্র রুপে মা দক্ষিণাকালী পুজো হয়ে আসছে ।
advertisement
আরও পড়ুন: দেবীর আলতা মাখা পদচিহ্নই পুজিত হয় কান্দির চরণ কালীবাড়িতে
মন্দিরের অন্যতম সেবাইতরা জানান, প্রতিবছর কালীপুজো সহ বিভিন্ন ধুম ধামের সহকারে পুজো হয়। পাশাপাশি, সারা বছর বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন পুজো হয়। কথিত আছে পরিব্রাজক এক সাধক এই কালী মন্দিরের গাছের তলায় তপ্যাসা চলাকালীন মা কে দেখতে পান। তখন তাকে জিজ্ঞেস করা হয় কী চাও, তখন জানানহয় আমি অন্ধ, চোখ অন্ধ দুর করতে কোন কিছু ব্যাবস্থা করা হোক।
সেই থেকে বিভিন্ন জায়গা থেকে মানুষ আসেন এবং এই পুকুরে চান করে গাছের শিকর নেন এবং অন্ধত্ব দুর হয় বলে কথিত আছে। এমনকি এই কান্দি দোহালিয়া গ্রামে কালীপুজো অমাবস্যাতে অন্য কোন পুজো হয় না। কারণ এই গ্রামে একটি মন্দিরে পুজো হয়। নিয়ম নিষ্ঠা ও আচার আচরন মেনেই ঐতিহ্যবাহী মন্দিরে পুজো হয় আজও । তবে কালীপুজোর দিনে দোহালিয়া গ্রামে কালীপুজো না হলেও, এই মন্দিরে পুজো দিতে ভিড় জমান বহু সাধারণ মানুষ।
কৌশিক অধিকারী