বহুদিন ধরেই সেতুটির সংস্কার খুবই প্রয়োজন ছিল। সেই কারণেই সেতুর উপর দিয়ে কিছুদিন যান চলাচল বন্ধ রেখে সংস্কারের কাজ শুরু করা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই সকলের সাথে আলোচনা করে এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে এবং বিজ্ঞপ্তি ও প্রকাশ করা হয়েছিল। জানা যায়, এই সেতুর চারটি স্ল্যাব ভেঙে গিয়েছে। যে কোন সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা রয়েছে। যার ফলে ওই স্ল্যবগুলি প্রতি দ্রুত পরিবর্তন করা প্রয়োজন। শনিবার থেকে ২৬শে নভেম্বর পর্যন্ত ওই সেতুর উপর দিয়ে কোনওরকম কোন যানবাহন চলাচল করবে না।
advertisement
আরও পড়ুনঃ ডেঙ্গি প্রতিরোধে সচেতনতার বার্তা, পথনাটিকার আয়োজন কান্দিতে
পাশাপাশি পথচারীদেরও হাঁটাচলায় বন্ধ থাকবে।পাশাপাশি সেতুর অন্যান্য অংশের ও জরুরী মেরামতের জন্য ডিসেম্বর মাসের ১১ তারিখ পর্যন্ত যান নিয়ন্ত্রণ করা হবে। ওই সময় ছোট গাড়ি চলবে। সব মিলিয়ে ওই সেতুটি বন্ধ রাখা হতে পারে ২৩ দিনের মতো। পরিবর্তে বিকল্প রাস্তা করা হয়েছে কুলি চৌরাস্তা মোড় থেকে কান্দি শহর বাইপাস করে ভরতপুর সালার হয়ে পাচুন্দি মোড়ে গিয়ে বাস যাবে। এই রুটে বর্ধমান বীরভূম কলকাতার গাড়ি গুলিকে ঘুরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। ফলে প্রবল ভোগান্তির স্বীকার হন শনিবার থেকে নিত্যযাত্রী থেকে সাধারণ মানুষ সকলেই।
আরও পড়ুনঃ কার্তিক পুজোয় মেতেছে বেলডাঙা! প্রায় ৩৫০টি মণ্ডপে দেব সেনাপতির আরাধনা
মুর্শিদাবাদ জেলার তো বটেই হলদিয়া ফারাক্কা বাদশাহী সড়কের মূল যোগাযোগ রক্ষাকারী সেতু ময়ুরাক্ষী নদীর উপর অবস্থিত “বিপ্লবী ননী সেতু”। বাম সরকারের আমলে তৈরি এই সেতু গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। প্রায় ৩০ বছর আগে সেতু তৈরি হলেও পরবর্তী সময়ে সংস্কার হয়নি। বর্তমানে এই সেতুর উপর দিয়ে প্রত্যেকদিন প্রায় দুই হাজারের উপর বাস লড়ি চলাচল করে। মুর্শিদাবাদ মালদা নদীয়া মূলত এই তিন জেলার মানুষ খুব সহজেই হলদিয়া ফারাক্কা বাদশাহী রোড ধরে এই সেতু পার করে বর্ধমান বীরভূম পুরুলিয়া বাঁকুড়া যাতায়াত করতে পারে। জরাজীর্ন সেতু সংস্কার হলেই উপকৃত হবেন এলাকার বাসিন্দা থেকে পথ চলতি সকলেই।
Koushik Adhikary