তবে কী কারণে কারা এই গুলি চালায় তার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ প্রশাসন। জানা গিয়েছে, নওদা ব্লকের চাঁদপুর সমবায় সমিতির ভোট চলছে বৃহস্পতিবার। আর সেই সামান্য সমবায় সমিতির নির্বাচনকে কেন্দ্র করে নওদার মালিথ্যা পাড়ায় চলে গুলি। খবর করতে গিয়ে সাংবাদিকরা দুস্কৃতিদের হামলার সম্মুখীন হতে হয়। অভিযোগ উঠেছে তৃণমূল আশ্রিত দুস্কৃতীদের বিরুদ্ধে। যদিও অভিযোগ অস্বীকার শাসক দল।
advertisement
আরও পড়ুনঃ সাগরে স্বাস্থ্যসাথী কার্ড তৈরির নয়া রেকর্ড, ১ মিনিটেই মিলছে কার্ড
সমবায়ে মোট আসন ৯। একদিকে রয়েছে তৃণমূল। বিপক্ষে আছে সিপিআই(এম), আরএসপি এবং কংগ্রেসের জোট। ভোট ঘিরে সন্ত্রাসের অভিযোগ উঠছে তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে। জানা গিয়েছে, গত নভেম্বর মাসের ৮ তারিখে নওদা থানার অন্তর্গত চাঁদপুর সমবায় সমিতির নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল। প্রশাসনের সমস্যা থাকার জন্য সেই নির্বাচনের তারিখ পিছিয়ে আজ ২৯ ডিসেম্বর স্থির করা হয়।
আরও পড়ুনঃ বছরের প্রথম দিন ঘুরতে যাবেন? গন্তব্য হোক কলকাতার অদূরে নিরিবিলি এই সমুদ্র সৈকত
অভিযোগ, বৃহস্পতিবার সকাল দশ'টা থেকে তৃণমূলের দুষ্কৃতী বাহিনী লাঠি ও ইট নিয়ে বিরোধীদের ওপর হামলা শুরু করে। যেখানে বুথের ২০০ মিটারের মধ্যে ১৪৪ ধারা জারি রয়েছে। সেখানে কী ভাবে লাঠি নিয়ে অবাধে বিচরণ করতে পারে সেটা নিয়েই আসছে প্রশ্ন বিরোধীদের। আরও অভিযোগ, প্রার্থী এবং ভোটের এজেন্ট কাউকেই ভোটকেন্দ্রে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। শুধু বাঁধা দেওয়াই নয় তাদেরকে মারধর করে তাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। হাত থেকে রেহাই পায়নি সাংবাদ মাধ্যমের প্রতিনিধিদের।
ভোট ঘিরে গুলি চলছে বলে অভিযোগ উঠছে বিরোধীদের পক্ষ থেকে। মাটিতে পরে থাকতে দেখা গিয়েছে কার্তুজের খোল। ভোট গ্রহণ শুরু হয় বেলা ১০টা নাগাদ নওদার পাটিকাবাড়ি হাইস্কুলে। ৯৮১ জন ভোটার রয়েছন এই কেন্দ্রে। প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ১৯ জন প্রার্থী। সকাল থেকে ৩ রাউন্ড গুলি চলেছে বলে অভিযোগ। তৃণমূল বিরোধীদের অভিযোগ, ভেঙে দেওয়া হয়েছে তাঁদের ক্যাম্প। যদিও ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ প্রশাসন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টার পাশাপাশি পরিস্থিতির ওপর নজর রাখছে পুলিশ।
কৌশিক অধিকারী