আরও পড়ুন: পুরসভা থেকে পঞ্চায়েতে ঢুকলেই নাজেহাল হতে হচ্ছে রিষড়ার মানুষকে
গঙ্গা দূষণ নিয়ন্ত্রণে কেন্দ্রীয় সাংস্কৃতি মন্ত্রক এই বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছে। সকালে বর্নাঢ্য এক প্রভাতফেরির মধ্য দিয়ে লালবাগ শহর পরিক্রমা করেন সংস্কৃতি কর্মীরা। তাতে পা মেলান পূর্বাঞ্চল সংস্কৃতি কেন্দ্রের নির্দেশক আশিস গিরি ও মুর্শিদাবাদ বিধানভার বিধায়ক গৌরীশঙ্কর ঘোষ। সন্ধেয় আয়োজন করা হয় গঙ্গাপুজো ও গঙ্গা আরতি। লঞ্চের উপরে গঙ্গা আরতির আয়োজন করা হয়। এছাড়াও রায়বেঁশে, রণপা নৃত্য, আদিবাসী নৃত্য, বাংলার ঢাক ও শঙ্খ বাদনের পরিবেশনা ছিল। মূলত গঙ্গা তীরবর্তী এলাকার মানুষকে সংস্কৃতির মাধ্যমে সচেতন করে তোলার লক্ষ্যে এই আয়োজন বলে জানান ইজেডসিসি-এর নির্দেশক আশিস গিরি ।
advertisement
এর আগে বিহারে ভাগলপুরেও একই ধরনের অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়েছিল। এবার পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদ সহ পলাশী, বেলুরমঠ, ডায়মন্ডহারবার এবং গঙ্গা সাগরে এই অনুষ্ঠান করা হবে।
ভাগীরথী গঙ্গার মূল প্রাণ শক্তি। তাই গঙ্গার তীরবর্তী এলাকায় কৃষি, শিল্প ও মানুষের বসতির প্রসার ঘটেছে এবং সংস্কৃতি প্রসার হয়েছে। তার ফলে সভ্যতার বিকাশ ঘটেছে। সেই সূত্র ধরে গঙ্গা দূষিতও হয়েছে। গঙ্গাকে আবার দূষণমুক্ত করে আগের অবস্থায় ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য মানুষকে সচেতন করতেই এমন সাংস্কৃতিক উদ্যোগ বলে জানা গিয়েছে।
বিধায়ক গৌরী শঙ্কর ঘোষ জানান, মুর্শিদাবাদ জেলা বাংলা-বিহার-ওড়িশার রাজধানী ছিল। তাই এই ইতিহাসের জেলাকে বেছে নেওয়া হয়েছে। গঙ্গা সংস্কৃতি যাত্রার মধ্যে দিয়েই মানুষকে সচেতন করে তোলা হচ্ছে। গঙ্গাকে দূষণ মুক্ত রাখলে সমাজ দূষণ মুক্ত থাকবে। গঙ্গাকে দূষণ মুক্ত করার মধ্যে দিয়েই সুস্থ সমাজ গড়ে উঠবে বলে জানান।
তবে এই সংস্কৃতি যাত্রা দেখতে গঙ্গা তীরবর্তী এলাকায় ভিড় জমান বহু সাধারণ মানুষজন ।
কৌশিক অধিকারী