গ্রামবাসীরা জানিয়েছেন, সাম্প্রতিক ওই একই হনুমানের আক্রমণে গ্রামের ১৫ জনের বেশি আক্রান্ত হয়েছে। গ্রামের মানুষজন প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়েছেন, যাতে বন দফতরের কর্মীরা অবিলম্বে হনুমানটিকে খাঁচাবন্দি করে নিয়ে যান। এদিনের ঘটনার খবর পেয়ে সালার ব্লকের বিডিও আশিস মণ্ডল ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দিয়েছেন। হনুমানের আক্রমণের পাশাপাশি কয়েকদিন আগে শিয়ালের কামড়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে বড়ঞা ও সুতিতে।
advertisement
আরও পড়ুন : অনটনের সংসার অথৈ জলে, ভিন রাজ্যে কাজে গিয়ে মর্মান্তিক মৃত্যু মুর্শিদাবাদের ২ পরিযায়ী শ্রমিকের
গত ২৩ নভেম্বর মুর্শিদাবাদ জেলার সুতিতে শিয়ালের আক্রমণে আহত হন ১০জন গ্রামবাসী। গ্রামের মধ্যে ঢুকে একটি শিশুকে নিয়ে পালানোর চেষ্টা করছিল একটি শিয়াল। গ্রামবাসীরা দেখতে পেয়ে সেই শিয়ালকে তাড়া করতেই পাল্টা গ্রামবাসীদের উপর হঠাৎই আক্রমণ করে শিয়ালটি। শিয়ালের কামড়ে আহত হন চার মহিলা, দুই শিশু-সহ প্রায় দশজন গ্রামবাসী।
আরও পড়ুন : পৌঁছয়নি 'দুয়ারে সরকার', টাকা খরচ করে নদী পেরিয়ে রেশন আনতে যেতে হয় চরের বাসিন্দাদের
ঘটনায় ব্যাপক আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। অনেকেরই রক্ত ক্ষরণ শুরু হয়। তড়িঘড়ি আক্রান্তদের সামসেরগঞ্জের অনুপনগর ব্লক প্রাথমিক হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, উল্লাপাড়া গ্রামটি মাঠ সংলগ্ন এলাকা হওয়ায় যখন তখন এমন ঘটনা ঘটছে।তবে শিয়ালের পর এবার হনুমানের তাণ্ডবে অতিষ্ঠ এ বার সালার এলাকার বাসিন্দারা।