মরশুমের ঝড়বৃষ্টি শুরু হতেই গ্রামের সমস্যা আরও তীব্র হয়ে দাঁড়িয়েছে। বর্তমানে এই গ্রামে প্রায় এক হাজার পরিবারের বসবাস। কিন্তু বসবাস হলেও এই গ্রামে কেউ যেমন আসতে ভয় পান, ঠিক তেমনই গ্রামের মানুষের সাথে আত্মীয়তা করতে চাননা অন্য গ্রামের বাসিন্দারা। ফলে আজও পিছিয়ে থেকে গেছে এই গ্রাম। গ্রামবাসীরা জানাচ্ছেন, ভোট আসতেই গ্রামে উপস্থিত হন বিভিন্ন দলের জেলা ও রাজ্য স্তরের নেতারা। মেলে একাধিক আশ্বাস। তবে সেটা শুধুই অব্যাহত থাকে ভোটের দিন পর্যন্ত। ভোট আসে ভোট চলেও যায় কিন্তু গ্রামের প্রধান রাস্তাটির বেহাল দশা প্রায় একই রয়ে যায় বছরের পর বছর ধরে।
advertisement
আরও পড়ুন- মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশকে বুড়ো আঙুল! এ কী কাণ্ড ভগবানগোলায়!
বর্তমান পরিস্থিতিতে, গ্রামের এক হাজার পরিবারের মধ্যে গর্ভবতী থেকে শারীরিক অসুস্থ বা অন্য কোনো দুর্ঘটনাগ্রস্ত মানুষকে আজও হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার উপায় একমাত্র মানুষের কাঁধ! হ্যাঁ ঠিকই শুনেছেন, কাঁধে করেই প্রায় তিন কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে রোগীদের সুস্থ করার জন্য নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে। যে কোন বিপদ আপদে গ্রামে মোটরগাড়ির প্রবেশ তো অনেক দূরের কথা, বছর তিনেক ধরে গ্রামের রাস্তায় চলেনা গরুর গাড়িটুকুও। গ্রামে ঢোকার প্রধান এই রাস্তার অবস্থা বর্তমানে এতটাই শোচনীয় যে এই গ্রামের বাসিন্দাদের সাথে বিয়ে দিতেও আঁতকে ওঠেন পার্শ্ববর্তী গ্রামের অধিকাংশ মানুষ।
আরও পড়ুন- ঝড়ে উড়ে গেল ১৫ টি বাড়ির চাল! বজ্রাঘাতে মৃত ১, কালবৈশাখীর তান্ডব বড়ঞাতে!
যদিও বড়ঞা বিধায়ক জীবন কৃষ্ণ সাহা জানান, অবিলম্বে এই রাস্তার কাজ শুরু করা হবে। সংস্কার করা হবে গ্রামের এই প্রধান রাস্তা। কবে এই আশ্বাস বাস্তবে পরিণত হয় তার আশায় দিন গুণছে দুর্জয়পলসাবাসী।
Koushik Adhikary





