#ভগবানগোলাঃ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়র নির্দেশকে থোড়াই কেয়ার। মুর্শিদাবাদে দিনে দুপুরে সরকারি জমি দখল করে চলছে অবৈধ নির্মাণ। আর সেসব দেখেও নিশ্চুপ প্রশাসন, এমনই অভিযোগ স্থানীয় মানুষ থেকে বিরোধী দলের। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ভগবানগোলার রামবাগ এলাকায় সেচ দফতরের অধীনস্থ জায়গা দিয়ে গিয়েছে গ্রামের নিকাশি নালা। আর এখানেই সেই পুকুর চুরি। অভিযোগ, গ্রামের নিকাশি নালা অবৈধভাবে ভরাট করে চলছে বেআইনি নির্মাণ কাজ। স্থানীয় মানুষ ও বিরোধী দলের পক্ষ থেকে এই অবৈধ নির্মাণের কথা উল্লেখ করে স্থানীয় প্রশাসন ও জেলা শাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ জমা দেওয়া হয়। লিখিত অভিযোগ পাওয়ার পরেই নড়ে চড়ে বসে প্রশাসন।
ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতরের পক্ষ থেকে বন্ধ করে দেওয়া হয় নির্মাণ কাজ। অভিযোগকারীদের বক্তব্য, শাসক দল ও স্থানীয় প্রশাসনের একাংশের মদতেই দিনে দুপুরে চলছে সরকারি জায়গায় অবৈধ নির্মাণ। সেচ দফতরের এই জায়গাটি নিকাশির কাজে ব্যবহৃত হত। সেচ দফতরের অধীনস্থ এই প্লটেই চলছে অবৈধ নির্মাণ। যদিও সেই কাজ বন্ধ করা হয়েছে ইতিমধ্যেই। ১ একর ৬২ ডেসিমেলের ওপর আনুমানিক চার শতকেরও বেশি জায়গায় অবৈধভাবে নির্মাণে, অভিযোগের আঙুল উঠেছে মানোয়ার হোসেন প্রামাণিক ও রানা হোসেনের দিকে। সম্প্রতি মাটি বহনকারী ট্রাক্টর চাপা পড়ে মারা যায় এক শিশু।
মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশকে কার্যত বুড়ো আঙুল দেখাচ্ছে তারা বলে অভিযোগ গ্রামের বাসিন্দাদের। যদিও অভিযুক্ত নির্মাণকারী রানা হোসেনের দাবি, "আমার জায়গার ওপরেই আমি কাজ করছি। এটা কোন সরকারি জায়গা নয়। জল নিকাশির ব্যবস্থাও রাখা আছে, নির্মাণ কাজ হলেও জল নিকাশে কোনো বাধা সৃষ্টি হবেনা", বলে জানান তিনি। যদিও অভিযোগ পাওয়ার পরেই কাজ বন্ধ রাখা হয়েছে প্রশাসনের নির্দেশে।
ভগবানগোলা ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতরের কর্মী বরুণ মন্ডল জানান, ভগবানগোলার ৩৬২ নং প্লটটি সেচ দফতরের অধীনে রয়েছে। সেখানেই অবৈধ ভাবে নির্মাণ চলছে। বর্তমানে সেই কাজ বন্ধ করাও হয়েছে।
Koushik Adhikaryনিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।