দেড় কিলোমিটার রাস্তায় পিচের আস্তরণ উঠে অসংখ্য খানাখন্দ তৈরি হয়েছে । কোথাও কোথাও গর্ত এত গভীর যে, বৃষ্টিতে ওই সব গর্তে জল জমে প্রায় ডোবায় পরিণত হয়েছে । স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, সাধারণের যাতায়াত করা দুষ্কর হলেও ভ্রূক্ষেপ নেই প্রশাসনের । খানাখন্দে ভর্তি রাস্তাটিতে হামেশাই ঘটছে দুর্ঘটনা ।
এলাকাবাসী ও নিত্যযাত্রীদের অভিযোগ, গণতন্ত্রের উৎসব এলে পরিযায়ী নেতারা এসে বেহাল রাস্তা সংস্কারের টোপ দিয়ে ভোট চেয়ে থাকেন । কিন্তু ভোট মিটে গেলে ফিরেও তাকান না, নির্বাচিত প্রতিনিধি । বরং রাজ্যের দুই প্রধান রাজনৈতিক শিবির তৃণমূল ও বিজেপি একে অপরকে দোষারোপ করতেই ব্যস্ত । আক্ষেপ স্থানীয় বাসিন্দাদের ৷
advertisement
আরও পড়ুন : অলিগলিতে পথের রোমিওদের শায়েস্তা করতে নতুন উদ্যোগ পুলিশের
কয়েক হাজার গ্রামবাসীর প্রায় সকলেরই অভিযোগ, ভোটের সময় হলেই এলাকার নেতারা রাস্তা সারাইয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে যান । কিন্তু ভোট পেরিয়ে গেলেই তাঁদের আর কারও দেখা পাওয়া যায় না । এতদিনেও সংস্কার তো হয়ইনি, উল্টে রোজ রোজ আরও বেহাল হচ্ছে রাস্তা । রাস্তার বেহাল অবস্থার জন্য দুর্ঘটনা নিত্যদিনের সঙ্গী । রাজনৈতিক তরজার মাঝে নিত্যদিনের ভোগান্তিতে ক্ষোভে ফুঁসছে এলাকাবাসী । তাঁরা আরও জানাচ্ছেন যে, এত দিনেও কোনওরকম সংস্কার হয়নি । উল্টে রোজ রোজ আরও বেহাল হচ্ছে রাস্তা । ফলে রোজই দুর্ঘটনা ঘটছে।
শুধু তাই নয়, এলাকায় কারও শরীর খারাপ হলেও রাস্তার অবস্থার জন্য কোনও গাড়ি আসতে চায় না । ভয়াবহ এই পরিস্থিতির ফলে দুর্ঘটনার সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসার অভাবে বেঘোরে প্রাণও যাচ্ছে এলাকাবাসীর । বার বার এই বিষয়ে ব্লক,পঞ্চায়েত ও এলাকার নেতাদের জানানোর পরও কোনও সুরাহা মেলেনি ।
আরও পড়ুন : ফুঁসছে সমুদ্র, বাঁধ ভেঙে ঢুকছে জল! ফের প্লাবিত সুন্দরবন, নিরাশ্রয় বহু
অভিযোগ উঠেছে, রাস্তা সংস্কারের দায় বিজেপির বলে দায়মুক্ত হওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছে তৃণমূল । পাশাপাশি এলাকার বিজেপি নেতৃত্ব অভিযোগ করেছেন, বারবার ব্লক ও পঞ্চায়েতকে রাস্তা সারাইয়ের ব্যাপারে জানানোর পরও ‘হচ্ছে,হবে’ করে কাজ ফেলে রেখেছে। এলাকার মানুষের সমস্যা হচ্ছে । স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েতের দাবি, জেলা স্তরে জানানো হয়েছে রাস্তা খারাপের কথা । বিষয়টি অতি দ্রুততার সাথে সমাধান করা হবে আগামী দিনে।
প্রতিবেদন : কৌশিক অধিকারী