প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ভরতপুর এক নম্বর ব্লকের গুন্দুরিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রাক্তন প্রধান হরপ্রসাদ ঘোষর বিরুদ্ধে অনাস্থা ডাকা হয় এবং অপসারণ করা হয় তাকে। হরপ্রসাদ ঘোষ প্রধান পদ থেকে অপসারিত হবার পর দীর্ঘ কয়েক মাস ধরে গুন্দুরিয়া গ্রামপঞ্চায়েতে প্রধান পদে কাউকে নিযুক্ত করা হয়নি। প্রধান পদে কেউ না থাকায় গত কয়েকদিন আগে গ্রাম পঞ্চায়েতে তালা ঝুলিয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন শাসক তৃণমূলের সাতজন পঞ্চায়েত মেম্বার ও তাদের অনুগামীরা।
advertisement
আরও পড়ুন: 'টাকা আদায় করতেই গভীর রাতে এই ঘটনা', রাশিদের পাশে দাঁড়িয়ে বিস্ফোরক শুভেন্দু
বৃহস্পতিবার গুন্দুরিয়া গ্রামপঞ্চায়েতে প্রধান নির্বাচনের দিন ঘোষণা করা হয়েছিল জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে। প্রধান নির্বাচনের সময় যাতে কোন ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনার না ঘটে, তার জন্য ভরতপুর থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী মোতায়েন ছিল গ্রাম পঞ্চায়েত চত্বরে।
আরও পড়ুন: একদিকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী, অপরদিকে রাজ্যের! ফোন নিয়ে শুরু তুমুল বিতর্ক
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, আগে প্রধান ছিল তৃণমূলের হরপ্রসাদ ঘোষ। তার বিরুদ্ধে অনাস্থা আনে তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্যেরা ৬ই জুন অনাস্হা আনা হয়। যার ফলে পঞ্চায়েত প্রধান হরপ্রসাদ ঘোষ ইস্তফা দেন। যা গৃহিত হয় ১২ই সেপ্টেম্বর। গুন্দুরিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের মোট আসন ১১টি। এই পঞ্চায়েতে ৬টি তৃণমূল দখল করে, ১টি কংগ্রেস, ১টি নির্দল ও ৩টি বিজেপি দল দখল করে। যদিও পড়ে দুইজন বিজেপি পঞ্চায়েত সদস্য তারা শাসকদল তৃণমূলে যোগদান করেন। বৃহস্পতিবার ৮জন উপস্থিত ছিলেন এই তলবি সভায়। উপস্থিত ছিলেন তৃণমূলের ৩জন সদস্য, বিজেপি ২জন, কংগ্রেস ১জন, নির্দল ১জন ও বিজেপির উপ প্রধান মেনোকা কোনাই সমর্থনে প্রধান নির্বাচিত হল লক্ষী ঘোষ।যা পঞ্চায়েত প্রধান নির্বাচিত হন তলবি সভায়। তবে আগামী দিনে এলাকার উন্নয়ন একমাত্র লক্ষ্য বলে জানান নতুন পঞ্চায়েত প্রধান লক্ষী ঘোষ ।