ভাগীরথী নদীর পাড়ে রঘুনাথগঞ্জের গড়ে উঠেছে বিনোদন পার্ক। শহর থেকে কিছুটা দূরে নদীর পাড়ে নিরিবিলি ও মনোরম পরিবেশে একটি পার্কটি গড়ে ওঠার কারণে পর্যটকদের নজর কাড়ছে। প্রায় ৬৫ বিঘা এলাকা নিয়ে সেজে উঠেছে এই চর-দ্বীপটি। পর্যটকদের কথা মাথায় রেখে কটেজ থেকে শিশুদের জন্য বিনোদন পার্ক সবই গড়ে তোলা হয়েছে। পরিযায়ী পাখিরা যাতে এখানে আসতে পারে, তার জন্যও গড়ে তোলা হয় পাখিরালয়ও। জঙ্গিপুর শহর থেকে সড়ক পথের পাশাপাশি লঞ্চে করে নদীপথেও পর্যটকরা এখানে আসতে পারবেন।
advertisement
আরও পড়ুন: আফগানি খাবার এবার কোচবিহারের আকর্ষণ! উপচে পড়ছে খাদ্য রসিকদের ভিড়
জঙ্গিপুর পৌরসভার অধীনে এই সুভাষ দ্বীপ এখন পর্যটকদের কাছে নতুন আকর্ষণ। রঘুনাথগঞ্জের জঙ্গিপুর সদর ঘাট। ভাগীরথীর তীরে প্রায় ৬৫ বিঘা জমির উপরে জঙ্গিপুর পুরসভা উদ্যোগে তৈরি এই নেতাজি সুভাষ দ্বীপ। বলা বাহুল্য, মুর্শিদাবাদে মতিঝিলের পর দ্বিতীয় পর্যটনকেন্দ্র হিসাবে সুভাষ দ্বীপকে গড়ে তোলার পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে রাজ্য সরকারের। এর জন্য অর্থ বরাদ্দ হয় প্রায় তিন কোটি টাকা।
আরও পড়ুন: সাইবার সিকিউরিটিতে নিজের ক্যারিয়ার গড়তে চান? এই কোর্সেই হবে ইচ্ছেপূরণ
সুভাষ দ্বীপের নামের সার্থকতা রেখে বসানো হয়েছে দেশের বীর সৈনিক নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর আবক্ষ মূর্তি। নতুন করে গড়ে তোলা হয়েছে রাস্তাঘাট। গড়ে তোলা হয়েছে পাখিরালয়। সেখানেই হয় রং-বেরংয়ের পাখির সমাহার। সুভাষ দ্বীপে রয়েছে আধুনিক কটেজ। পাশাপাশি রয়েছে ক্যান্টিনের সুবন্দোবস্ত। আছে গাড়ি পার্কিং-এর ব্যবস্থাও। এছাড়াও শিশুদের বিনোদনের জন্য সুভাষ দ্বীপে থাকছে দোলনা, স্লিপ। বসানো হয়েছে ফোয়ারা। দ্বীপ লাগোয়া জলাশয়ে থাকছে বোটিংয়ের সুবন্দোবস্ত। ফলে শীতের ছুটিতে একদিনের জন্য কাটিয়ে আসতে পারেন এই পার্কে। কাটাতে পারেন পিকনিকের আমেজ।
কৌশিক অধিকারী