কথিত আছে প্রকৃতি তীর্থ নামে পরিচিত এই মতিঝিল। এখানে ৩০০ বছর আগে নবাবরা মুক্ত চাষ করতেন। তবে কয়েক মাস আগে মুক্ত চাষের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয় এক বেসরকারি উদ্যোগে। এবছর ডিসেম্বর মাসে পর্যটকদের ভিড় চোখে পড়ার মতো ছিল। জানা যায়, ২০১৫ সালের ০১ জুলাই পার্কটি জনসাধারণের জন্য খুলে দেওয়া হয়।
advertisement
আরও পড়ুন: শান্তিনিকেতনে পৌষ মেলার মাঠে বিকল্প পৌষ মেলা! কারণ জানলে অবাক হবেন
এর আগে, এই বিশাল জায়গাটি পরিত্যক্তই পড়ে ছিল। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী এটি উদ্বোধন করেন। মতিঝিল পার্কের বর্তমান নাম দেওয়া হয়েছে ‘প্রকৃতি তীর্থ’। ঐতিহাসিক নমুনা বলতে এখানে রয়েছে একটি মসজিদ, সমাধিক্ষেত্র ও মতিঝিল হ্রদ। তবে ঘসেটির প্রাসাদ আজ নিশ্চিহ্ন।
আরও পড়ুন: বেঘোরে প্রাণ গেল সিভিক ভলেন্টিয়ারের! বেপরোয়া বাইকের ধাক্কায় সব শেষ
তবে মীরমদনের কামানের একটি অংশবিশেষ এখানে রাখা হয়েছে। মূল কামানটি রয়েছে হাজার দুয়ারি প্রাসাদে। বাংলার প্রধান তিনি নবাব- মুর্শিদকুলি খাঁ, আলীবর্দী খাঁ ও সিরাজ-উদ-দৌলার তিনটি ভাষ্কর্য রয়েছে এই পার্কে। মতিঝিলের মূল ফটকটি আজও রয়েছে, তবে তা ভগ্নপ্রায়। পাশেই নতুন করে গেট তৈরি করা হয়েছে। কথিত রয়েছে, মতিঝিল থেকে একসময় খোশবাগ দেখা যেত। বর্তমানে মতিঝিল শুধু একটি পার্কই নয়, মুর্শিদাবাদের বড় বিনোদন কেন্দ্রও বটে।
কৌশিক অধিকারী