জানা যায়, বহু প্রাচীন কাল থেকেই এই গ্রামে কালীপুজোর পরে গবাদী পশু নিয়ে এই উৎসব চলে। যা দেখতে ভিড় জমাচ্ছেন বহু সাধারণ মানুষ। জানা গিয়েছে মথুরাতে যখন থাকতেন রাধাকে নিয়ে, তখন গরুকে ডাক দিতেন তখন কম্বল দিয়ে শুয়োর পাহাড়ি খেলা করে গরু কে বসে রাখতেন। পিছনে পিছনে থাকতেন রাধা গোপীনিরা।
advertisement
আরও পড়ুন - সারেগামাপা -র মঞ্চ মাতানো চন্দ্রিকা এবার শ্রীজাতর কথায় জয় সরকারের সুরে গাইলেন ' ভাইফোঁটার গান'
গ্রামের বাসিন্দারা জানান, আগে কৃষ্ণ কালো কিছু নিয়ে করেছিল এখন শুয়োর নিয়ে করা হয়ে থাকে। এটাকে গ্রামীণ পাহাড়ি খেলা হিসেবে পরিচিত। কালীপুজোর পরেই মুলত এই খেলায় মেতে ওঠেন গ্রামের বাসিন্দারা।
আরও পড়ুন - দেবশ্রীর পর অগ্নিমিত্রা, তৃণমূলের 'সন্ত্রাস' মোকাবিলায় 'চুপ' নয়, জবাব দেওয়ার হুঁশিয়ারি
কথিত আছে, হিন্দুধর্ম, জৈনধর্ম, বৌদ্ধধর্ম এবং অন্যান্যদের মতো বিশ্ব ধর্মে গবাদি পশুকে পবিত্র বলে মনে করা হয়। প্রাচীন মিশর, প্রাচীন গ্রীস, প্রাচীন ইজরায়েল, প্রাচীন রোম সহ অনেক ধর্মে গবাদি পশু অন্যান্য প্রধান ভূমিকা পালন করেছিল। তবে গ্রামীন জনপদে এখনও কিছু কিছু খেলা-ধুলা চোখে পড়লেও উৎসাহ-উদ্দীপনা ও সাহায্য-সহযোগিতার অভাবে তাও বন্ধ হতে চলেছে। জেলার বিভিন্ন এলাকার গ্রামাঞ্চলে এক সময় প্রায় শতাধিক গ্রামীন খেলা-ধুলার প্রচলন ছিল। তাই গ্রামীন এই প্রাচীন খেলার প্রচলন আজও ঐতিহ্য বহন করে নিয়ে চলেছে ভগবানগোলার বর্বরিয়া গ্রাম।
Kaushik Adhikary