মুর্শিদাবাদ জেলার জলঙ্গী ব্লক মূলত সীমান্তবর্তী এলাকা হিসেবে পরিচিত ।এই এলাকায় বিঘের পর বিঘা জমিতে কলা ও পাট চাষ করে আর্থিক মুনাফা করেন চাষীরা। তবে হঠাৎ করে শিলাবৃষ্টিতে ক্ষতির মুখে পড়েছেন চাষীরা। সরকারের কাছে সাহায্যের আর্জি ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের ।
আরও পড়ুন: অসহায় কৃষকদের মাথায় হাত! পাকা ধান আর ঘরে তোলা হল না
advertisement
তবে এদিন ঝড়ো হওয়ার সঙ্গে শিলাবৃষ্টি ,জলঙ্গি ব্লকের সমস্ত জায়গায় না হলেও সাগরপাড়া, রানীনগর ব্যাপক শিলাবৃষ্টি ও ঝড়ে ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে হাজার হাজার কৃষক। জানা গিয়েছে, কিছুক্ষণের ঝড়ে ঘুম উড়েছে গ্রামবাসীদের। একাধিক গ্রামের বাসিন্দাদের বাড়ির চাল ঝড়ের কারণে উড়ে গিয়েছে।ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে একাধিক বাড়ি।
স্থানীয় পঞ্চায়েতের কাছে সাহায্যের আর্তি জানিয়েছেন গ্রামের বাসিন্দারা। কৃষকদের দাবি, "আমাদের প্রচুর ক্ষতি হয়েছে। পাট, ধান, কলা মাঠের একাধিক ফসলের ক্ষতি হয়েছে। মাঠে আর কিছু নেই বলা চলে। সরকার যদি আমাদের কিছু সাহায্য করে তাহলে চাষবাসের কিছু সুবিধা হয়।"
আরও পড়ুন: ভরদুপুরে চুরি করতে গিয়ে হাতেনাতে ধরা পড়ল চোর, তারপর ঘটল সেই সাঙ্ঘাতিক ঘটনা
কালবৈশাখী এবং শিলা বৃষ্টির জেরেই জলমগ্ন ফসলের জমি। ফলে মাঠে পড়ে পড়েই নষ্ট হচ্ছে পাকা ধান ও বিঘের পর বিঘে কলাগাছ। লাভের আশা একপ্রকার ছেড়েই দিয়েছেন চাষিরা। যা অবস্থা তাতে উৎপাদনের খরচও উঠবে কি না তা নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহ রয়েছে।
চাষিদের ক্ষতিপূরণের আশ্বাস দিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন। দক্ষিণবঙ্গের বেশ কিছু জেলায় ঝড়-সহ মুষলধারায় বৃষ্টিপাত হয়। মুর্শিদাবাদ জেলার জলঙ্গীর পাশাপাশি বেশ কিছু জায়গায় শিলা বৃষ্টি হতেও দেখা গিয়েছে। গরমের হাত থেকে মানুষ বাঁচলেও ঝড়ের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় বিস্তীর্ণ অঞ্চলের মানুষ দুর্ভোগের মধ্যে পড়েছেন।
কৌশিক অধিকারী