অনেকেই বিশ্বাস করেন, অন্নপূর্ণা পুজো করলে জীবনে কখনও অন্নবস্ত্রের অভাব হয় না। কিন্তু পাশাপাশি এমন বিশ্বাসও আছে, কিছু কিছু নিয়ম মেনে এই পুজো করলে দেবী বেশি সন্তুষ্ট হন। তাতে দারিদ্র্য, অর্থকষ্ট কেটে যেতে পারে। অন্ন দিয়ে যিনি সকলের দুঃখ, দারিদ্র্য দূর করেন তিনিই তো মা অন্নপূর্ণা। দ্বিভুজা অন্নপূর্ণার এক হাতে থাকে অন্নপাত্র, আর অন্য হাতে দর্বি বা হাতা। তাঁর মস্তকে নবচন্দ্র, একপাশে ভূমি ও অন্যপাশে শ্রী। দেবী পার্বতীরই আরেক রূপ হল অন্নপূর্ণা। তাঁর অপর নাম অন্নদা। দেবী পার্বতী ভিক্ষারত শিবকে অন্নপ্রদান করে এই নাম প্রাপ্ত হন।
advertisement
আরও পড়ুন - পঞ্চায়েত ভোটের আগে দলের ঘরোয়া কোন্দলই মাথাব্যথা বঙ্গ বিজেপির, কড়া বার্তা ও দাওয়াই সুকান্ত- মিঠুনের
আরও পড়ুন - ENG vs USA: হতশ্রী ইংল্যান্ড, মার্কিনদের বিরুদ্ধে গোলমুখই খুলতে পারল না সাউথগেটের ছেলেরা
কথিত আছে পুরাণ মতে, দেবী পার্বতীর সঙ্গে দেবাদিদেবের মতবিরোধ হওয়ায় দেবী কৈলাস ত্যাগ করেন। তারপরই শুরু হয় মহামারি এবং খাদ্যের হাহাকার। ভক্তগণকে এই বিপদ থেকে উদ্ধারের জন্য দেবাদিদেব নিজ কাঁধে তুলে নেন ভিক্ষার ঝুলি। কিন্তু দেবীর মায়ায় ভিক্ষারও আকাল ঘটে। সেই সময় মহাদেব শোনেন কাশীতে এক নারী সকলকে অন্ন দান করছেন। এরপর দেবাদিদেব কাশীতে গিয়ে দেবীর কাছে ভিক্ষা গ্রহণ করে ভক্তগণকে মহামারী এবং খাদ্যাভাব থেকে রক্ষা করেন।
Kaushik Adhikary