মৃত সামিরুলের বাড়ি সুতি থানার মদনা গ্রামে। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, আগে জেলাতেই কাজ করতেন। তবে এখানে পর্যাপ্ত কাজের অভাবে মাস দুই আগে আগে তামিলনাড়ুর কোটাগিরিতে রাজমিস্ত্রির কাজ নিয়ে চলে যান। কথা ছিল ঈদের সময় বাড়ি আসবেন। কিন্তু বৃহস্পতিবার অসাবধানবশত বাস থেকে পড়ে গিয়ে তাঁর মর্মান্তিক মৃত্যু হয়। ঐদিন রাতেই ওই ব্যক্তির সহকর্মীরা বাড়িতে ফোন করে মৃত্যুর খবর জানান।
advertisement
আরও পড়ুন: বিধ্বংসী আগুনে পুড়ে গেল বৃদ্ধ দম্পতির লক্ষাধিক টাকা ও বাড়ি
জানা গিয়েছে, অন্যান্য দিনের মত বৃহস্পতিবার সকালেও বাসে চেপে কর্মস্থলে দিকের রওনা হয়েছিলেন সামিরুল ইসলাম। সঙ্গে সহকর্মীরাও ছিলেন। কিন্তু বেখেয়ালে তিনি বাসের দরজা থেকে নীচে পড়ে যান। গুরুতর জখম অবস্থায় সহকর্মীরা স্থানীয় তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। এরপর সহকর্মীরাই বাড়িতে ফোন করে গোটা বিষয়টি জানান। এই ঘটনার কথা শুনেই কান্নায় ভেঙে পড়ে গোটা পরিবার। শোকের পাশাপাশি আগামী দিনে সংসার চলবে কী করে সেটাই তাঁদের অন্যতম প্রধান চিন্তা হয়ে দাঁড়িয়েছে।
কৌশিক অধিকারী