দেবী কতখানি জাগ্রত, তা নিয়ে এখানে বিভিন্ন কাহিনি প্রচলিত আছে। কথিত আছে, এখানে আগে ১৭২ ঘর পান্ডা থাকত। একবার আফগান আক্রমণের ভয়ে দেবীর কিরীট সংলগ্ন পশ্চিমমুখী মন্দির থেকে দক্ষিণমুখী গুপ্তমঠে স্থানান্তরিত করা হয়েছিল। ওই কিরীট থাকে লাল রেশমি কাপড়ে মোড়া অবস্থায় একটি কলসে। পান্ডারা তা নিজেদের মধ্যে ঠিক করে দেখবে বলে সিদ্ধান্ত নেয়।
advertisement
আরও পড়ুন - ২০০ বছরের প্রাচীন বড়ঞার বালুর গ্রামের কালীপুজো আজও অমলিন
প্রথমে জনাকয়েক সেটা দেখেন। তা দেখামাত্র ওই পান্ডারা অন্ধ হয়ে যান বলেই কথিত আছে। এরপর দেবীর রোষানলে পড়ে পান্ডাদের ১৭২টি পরিবারেরর বিনাশ ঘটে বলেই দাবি করেন ভক্তরা। এখানে প্রতিদিন দেবীর নিত্যপুজো হয়। দুপুরে ভাজা, তরকারি ও মাছ-সহ অন্নভোগ হয়। অন্নভোগে মাছ থাকা বাধ্যতামূলক। কালীপুজোর দিন রাতভর দেবীর আরাধনা হয়। পুজো শেষে ছাগলও বলি দেওয়া হয়। বহু ভক্ত এখানে মানত করেন।
তাঁদের দাবি, এখানে দেবী অত্যন্ত জাগ্রত। মানত করলে তা পূরণ হয়। বিভিন্ন ধর্মগ্রন্থে, এই সতীপীঠকে বাংলার অন্যতম আদি তীর্থক্ষেত্রে রূপে বর্ণনা করা হয়েছে। তবে কালীপুজোর দিনে একাধিক নিয়ম মেনে পুজো প্রচলন হবে। দেওয়া হবে একাধিক ভোগ। পাশাপাশি পুজো দিতে আসেন বহু দুর দুরন্ত থেকে আসা সাধারণ মানুষজন। যে যা মনস্কামনা নিয়ে আসে তার মনস্কামনা পূরণ হয় বলে কথিত আছে।
কৌশিক অধিকারী