গত কয়েক দিন ধরে হরিহরপাড়া আমতলা রাজ্য সড়কের ধারে ১৪ থেকে ১৫ টি গাছ কেটে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ পেয়ে গজনীপুর এলাকায় পৌঁছন হরিহরপাড়া বিডিও রাজা ভৌমিক-সহ প্রশাসনের কর্তারা। তারপর অবৈধভাবে গাছ কাটার কাজ বন্ধ হয়। অভিযোগ খতিয়ে দেখে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়েছেন প্রশাসনের কর্তারা। বন দফতরের অনুমতি না নিয়ে গাছ কাটার ফলে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা।
advertisement
শ্রমিকরা বাসিন্দারা জানান, মোটা গাছ কিছু কাটা হয়েছে। প্রধানের নির্দেশে এই গাছ কাটা হচ্ছিল।যদিও গ্রামের বাসিন্দারা জানান, হরিহরপাড়া থেকে গজনীপুর পর্যন্ত গাছ কাটা হচ্ছে বেআইনি ভাবে। যারা এই ঘটনা করে চলেছে তাদের শাস্তির দাবি তুলেছেন এলাকার বাসিন্দারা।
যদিও পঞ্চায়েত প্রধানের স্বামী জানান, ঝড় ও বৃষ্টির কারণে বেশ কিছু গাছ পড়েছিল রাস্তায়। শুকনো গাছের ডাল ও বেশ কিছু গাছ কাটা হচ্ছিল। আগামী দিনে পঞ্চায়েত সমিতিতে এই গাছের ডাল রেখে সেটার প্রশেস করা হবে। তবে আমরা লিখিত আবেদন করেছিলাম বিডিওর কাছে গাছ কাটার অনুমতির জন্য। তবে কোনও ভালো গাছ কাটা হয়নি বলেই সাফাই দেন পঞ্চায়েত প্রধানের স্বামী।
আরও পড়ুন: দ্বীপের মতো অবস্থান ছিল গ্রামের! অবশেষে শুরু হল সেতু নির্মাণের কাজ
বেআইনি ভাবে গাছ কাটা ঘিরে রীতিমতো বিতর্ক তৈরি হয়েছে। একদিকে, যখন গাছ লাগানোর ক্ষেত্রে সচেতন করতে সরকারি তরফে কোটি কোটি টাকা ব্যয় করা হচ্ছে বিজ্ঞাপনে, তখন অন্যদিকে বিনা অনুমতিতে গাছ কেটে ফেলায় নিন্দার ঝড় এলাকায়।
কৌশিক অধিকারী





