কান্দি মহকুমা মুলত বন্যা প্রবন এলাকা বলে পরিচিত । বন্যা নিয়ন্ত্রণের জন্য তৎকালীন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী প্রণব মুখোপাধ্যায় মাস্টার প্ল্যান ঘোষনা করেণ। যার জন্য বরাদ্দ করা হয় ৪৩৯কোটি টাকা। যার ৭৫ভাগ কেন্দ্র দিয়েছে, ২৫ভাগ রাজ্য সরকার দিয়েছে রাজ্য সরকার। ৩৬২কোটি টেন্ডার হয় । ২৪৯ কোটি টাকা ইতিমধ্যেই দিয়েছে কেন্দ্র দিয়েছে, বাকিটা ২০৬কোটি টাকা ৫০ লক্ষ টাকা রাজ্যে সরকার। কান্দি মাষ্টার প্ল্যানের অধীনে কান্দি থেকে সাটুই পর্যন্ত তিনটে নদীর ওপর ব্রীজ নির্মাণ করা হলেও এখনও পর্যন্ত রাস্তা নির্মাণ করা হয়নি। যদিও গত ১৬ ই অক্টোবর কান্দির শীতলাতলা থেকে শ্রীকৃষ্ণপুর পর্যন্ত রাস্তা মুর্শিদাবাদ জেলা পরিষদের অধীনে রাস্তা নির্মাণের জন্য উদ্বোধন করা হয়েছে।
advertisement
আরও পড়ুন : গোপনাঙ্গে লোহার রড, নির্ভয়াকাণ্ডের নৃশংসতা ফিরিয়ে রাজপথে বস্তাবন্দি দিল্লির গণধর্ষিতা
তা নিয়েও অধীর চৌধুরী অভিযোগ করেন, "আমরা রাস্তার জন্য আন্দোলন করতে নামার আগেই রাস্তা তৈরির জন্য উদ্বোধন করা হয়েছে, যার কোথায় কবে টেন্ডার হল আমরা জানি না। তবে আমরা রাজনীতি চাইনা, আমরা রাস্তা চাই সাধারণ মানুষের কথা মাথায় রেখে।"
মুলত ১৯কিলোমিটার এই রাস্তা তৈরি হলে অতি সহজেই কান্দি থেকে সাটুই পৌঁছানো যাবে। কান্দিতে রেল যোগাযোগ নেই, ফলে ট্রেনে করে যাতায়াতের জন্য সালার বা খাগড়া ঘাট স্টেশন কিংবা বহরমপুর কোর্ট ষ্টেশনে যেতে হয়। সাধারণ মানুষের কথা মাথায় রেখে এই রাস্তা নির্মাণ হলে অতি সহজেই পৌঁছানো যাবে স্টেশনে। কম হবে দূরত্ব। যদিও তিনটি ব্রিজের কাজ এখন নির্মাণ শেষ, রাস্তা সম্পন্ন হলেই যোগাযোগ আরও মসৃন হবে। তাই রাস্তা দাবি জানিয়ে দলীয় কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে পদযাত্রা করলেন বুধবার কংগ্রেস সাংসদ অধীর চৌধুরী।
কৌশিক অধিকারী