অনেকেরই অভিযোগ, পরিবেশ এবং পরিষেবার নিরিখে সরকারি স্বাস্থ্য ব্যবস্থার এতই করুণ দশা, পকেট কাটা হবে জেনেও লোকে ভিড় করে বেসরকারি হাসপাতালে। তার উপর পুরন্দরপুর প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের বেহাল দশা একাধিক প্রশ্ন তুলে দিয়েছে।
চিকিৎসার জন্য গোটা পঞ্চায়েত এলাকায় ভরসা হল মাত্র একটি প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র। তাতে চিকিৎসক রয়েছেন একজন। উন্নত পরিষেবা পাওয়ার জন্য চিকিৎসকের সংখ্যা বাড়ানোর আর্জি জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। কিন্তু সেই সংখ্যা বাড়ানো তো দূরের কথা, একমাত্র চিকিৎসকও ঠিক মতো আসেন না স্বাস্থ্যকেন্দ্রে। ফলে চিকিৎসা ব্যবস্থা বেহাল হয়ে পড়েছে। যার ফলে নিত্যদিন এই ভাবেই বেহাল অবস্থায় চলছে কান্দি ব্লকের অন্তর্গত পুরন্দরপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের পুরন্দরপুর প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র। ফলে এলাকার দুস্থ এবং সাধারণ মানুষরা অসুস্থ হলে প্রাথমিক চিকিৎসাটুকুও পাচ্ছেন না অনেক সময়।
advertisement
আরও পড়ুন- বাড়ির ভিতে ৪০০ কেজি-র সিন্দুক! রাজস্ব দফতর তালা ভাঙতেই চক্ষু চড়কগাছ
আরও পড়ুন - রাজভবনে পালিত হবে ‘বাংলার নববর্ষ’, সেদিন থেকেই সাধারণের জন্য উন্মুক্ত হবে রাজভবন
সমস্যার কথা জানিয়ে স্থানীয় পঞ্চায়েতের পক্ষ থেকে চিঠি দেওয়া হয়েছে ব্লক স্বাস্থ্য দফতরে। আশপাশের এলাকা থেকেও মানুষ এখানে চিকিৎসার জন্য আসেন। পুরন্দরপুর গ্রাম ছাড়াও ভবানীপুর, রণগ্রাম, হিজল প্রভৃতি গ্রামের মানুষের প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য এই কেন্দ্রটির উপরেই নির্ভরশীল। কিন্তু এই উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্রটিতে চিকিৎসক ও নার্স রয়েছেন এক জন করে। তবে চিকিৎসক না এলেও মুখের কথায় শুধু ফার্মাসিস্ট দিয়েই চলছে চিকিৎসা ব্যবস্থা । আর ফার্মাসিস্ট রোগীদের ওষুধ দিচ্ছেন। তবে সমস্যার কথা স্বীকার করে নিয়েছেন মহকুমা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ডাঃ রাজেশ সাহা।
কৌশিক অধিকারী