কার্তিক লড়াইয়ে প্রস্তুতি চলছে জোর কদমে। চলছে প্রতিমা তৈরির শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতির কাজ। কার্তিক মাসের শেষ দিনে এই কার্তিক পুজো আয়োজন করা হয়, বৃহস্পতিবার কার্তিক মাসের শেষ দিন। কার্তিক পুজোর পর শুক্রবার দিন-রাত শ’তিনেক ছোট-বড় মূর্তির নিরঞ্জনকে ঘিরে যাবতীয় উন্মাদনা। বড় মূর্তিগুলির গড় উচ্চতা ১২-১৪ ফুট। সেগুলিকে কাঠামো-সহ বাঁশের মাচায় চাপিয়ে শহরের রাস্তা দিয়ে বাদ্যযন্ত্র-সহ শোভাযাত্রা বেরয় যখন বাস্তবিকই দেখার মতো দৃশ্য। কে-কত ভাল শোভাযাত্রা করল, তা নিয়ে মূলত লড়াই।
advertisement
আরও পড়ুনঃ সোমবার রাত থেকে নিখোঁজ থাকার পর দেহ উদ্ধার! প্রতিবাদে পথ অবরোধ
পুজো উদ্যোক্তা শহরের বিশিষ্ট হোমিওপ্যাথি চিকিৎসক তাপস মুখার্জি জানান, শুক্রবার বেলডাঙা মেতে উঠবে কার্তিক লড়াইয়ে। লড়াই কেন? উদ্যোক্তারা জানাচ্ছেন, দুপুর থেকে রাত পর্যন্ত তামাম বেলডাঙা ও আশপাশ এলাকার হাজারও মানুষ ভিড় করে দাঁড়িয়ে থাকেন রাস্তার দু’পাশে। মূলত মণ্ডপতলা থেকে ছাপাখানা মোড় পর্যন্ত সবথেকে বেশি ভিড় হয়। কারণ, সেই রাস্তা দিয়েই এলাকার সমস্ত প্রতিমা নিয়ে শোভাযাত্রা বেরোয়। কোন প্রতিমা কত বড়, কারা আগে গিয়ে রাস্তার চৌমাথা দখল করবে, কাদের পুজোর বাদ্যির কত দম, কোন প্রতিমার গলায় সব থেকে দামি মালা, চলে তারই প্রতিযোগিতা।
আরও পড়ুনঃ জাতীয় সড়কে টোটোকে ধাক্কা মেরে উল্টে গেল ট্রাক! মৃত এক
সেটাই আসলে কার্তিক লড়াই। তবে এই লড়াই সামলাতে প্রতি বছর হিমশিম খেতে হয় স্থানীয় পুরসভা ও প্রশাসনকে। ফলে ক’দিন ধরেই বেলডাঙার প্রাচীন ঐতিহ্য, কার্তিক লড়াই যাতে সুষ্ঠু ভাবে সম্পন্ন হয় তার জন্য সব রকম ভাবে প্রস্তুত আছে বলে দাবি করেছে প্রশাসন। গত কয়েক বছর ধরে কমবেশি ৩৫০ টিরও বেশি কার্তিক পুজো হয়। দর্শনার্থীর সংখ্যা থাকে লক্ষাধিক। ফলে এই বিপুল ভিড় সামাল দিতে কী করণীয়, পুজো কমিটিগুলোকে নিয়ে প্রশাসন একটি বৈঠকও করে এবং কোভিড বিধি মেনেই পূজো করার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকলেই মেতে উঠবেন এই কার্তিক পুজো কে কেন্দ্র করে।
Koushik Adhikary