এখানে উপস্থিত ছিলেন ফরাক্কা বাঁধ প্রকল্পের জেনেরাল ম্যানেজার আর ডি দেশপান্ডে, ফরাক্কার বাঁধ প্রকল্পের রাজেশ কুমার, ফরাক্কার বাঁধ প্রকল্পের অজিত কুমার ও ফরাক্কার বাঁধ প্রকল্পের আধিকারিকরা। এছাড়াও বাংলাদেশের পাঁচ প্রতিনিধি দলে ছিলেন মহঃ আবুল হোসেন, শ্রী আতুল জৈয়ন, মহঃ মহমদুর রহমন, মহঃ মহমোদুল হক, মহঃ রায়দুর রহমন।
আরও পড়ুন: বন্ধুদের সঙ্গে খেলতেই খেলতেই সব শেষ! ভয়াবহ দুর্ঘটনায় প্রাণ গেল ছোট্ট শিশুর
advertisement
মুলত, ফরাক্কা বাঁধের কারণে বাংলাদেশে জলের প্রবাহ কমতে থাকার প্রেক্ষাপটে ১৯৯৬ সালে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে ৩০ বছর মেয়াদী গঙ্গা চুক্তি হয়। সেই চুক্তি অনুযায়ী, শুষ্ক মরসুমে অর্থাৎ জানুয়ারি থেকে ৩১শে মে পর্যন্ত দুই দেশ চুক্তিতে উল্লেখিত ফর্মুলা অনুযায়ী জল ভাগাভাগি করে নেবে।
আরও পড়ুন: রাত পোহালেই সাগরদীঘি উপ নির্বাচন! থাকছে ৩০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী
চুক্তিতে বলা হয়েছে, নদীতে ৭০ হাজার কিউসেক বা তার কম জল থাকলে দুই দেশ সমান সমান জল ভাগ করে নেবে। জলের পরিমাণ ৭০ হাজার কিউসেক থেকে ৭৫ হাজার কিউসেক হলে ৪০ হাজার কিউসেক পাবে বাংলাদেশ। অবশিষ্ট প্রবাহিত হবে ভারতে।আবার নদীর জলের প্রবাহ যদি ৭৫ হাজার কিউসেক বা তার বেশি হয় তাহলে ৪০ হাজার কিউসেক জল পাবে ভারত। অবশিষ্ট জল প্রবাহিত হবে বাংলাদেশে।তবে কোন কারণে যদি ফারাক্কা নদীর জলের প্রবাহ ৫০ হাজার কিউসেকের নীচে নেমে যায় তাহলে দুই দেশ কে কী পরিমাণ জল পাবে সেটা পারস্পরিক আলোচনার ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নেবে।
কৌশিক অধিকারী