উপসর্গ
একাধিক উপসর্গ দেখা যায় ডেঙ্গিতে। সব ক্ষেত্রেই জ্বর দেখা যায়। হাই ফিভার স্বাভাবিক উপসর্গ। তার সঙ্গেই প্রবল সর্দি ও ঠান্ডা লাগা। মাংসপেশি এবং শরীরের বিভিন্ন গাঁটে অসম্ভব ব্যথা সারা গায়ে র্যাশ দেখা যায়।
অনেকের প্রবল মাথা ব্যথা হয়ে থাকে চোখে এবং চোখের পিছনে ব্যথা, বমি এবং মাথা ঘোরার সমস্যা দেখা যায়।মূল রোগের কোনও ওষুধ এখনও নেই। ফলে রোগের আক্রান্তদের উপসর্গের চিকিৎসা করা হয়।
advertisement
পরীক্ষার রিপোর্টে ডেঙ্গি ধরা পড়লে প্রথম থেকেই প্রচুর জল, ফলের রস জাতীয় ফ্লুইড গ্রহণ করুন। এর চিকিৎসা বলতে প্যারাসিটামল এবং ফ্লুইড দেওয়া। ১০ শতাংশ ক্ষেত্রে জ্বর নেমে গিয়ে রোগী যখন সুস্থ হতে শুরু করে তখনই হিমোকনসেন্ট্রেশন হয়ে যেতে পারে। একে বলে রিকভারি ফেজ কমপ্লিকেশন।
আরও পড়ুন: পুজোয় ঘুরতে যাওয়া নিয়ে আর চিন্তা নেই! একদম কম খরচে IRCTC’র রাজস্থান-ট্যুর
প্রতিকার
চিকিৎসকরা বলছেন, ডেঙ্গি সাধারণত ১০ দিনের রোগ (সকলের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়)। সমস্যা এবং তার সমাধান এই সময়কালেই সম্ভব। জ্বর হলে কোনওদিক না ভেবে তাড়াতাড়ি চিকিৎসকের কাছে যান এবং প্রয়োজনীয় পরীক্ষা করান।
মশা তাড়ানোর জন্য নিমপাতা ব্যবহার করতে পারেন। নিমপাতা স্বাস্থ্যের জন্যও অত্যন্ত উপকারী। মশা তাড়াতে ঘরে নিমপাতা পোড়াতে পারেন। খাবারের তালিকায় নিমপাতা রাখতে পারেন। ডেঙ্গি রুখতে সবথেকে বড় হাতিয়ার সচেতনতা। তাই সচেতনতার বার্তাও দেওয়া হয়। ড্রামে যেন জল না জমে। কোনও জায়গায় যেন দীর্ঘদিন বর্জ্য জমে না থাকে। প্রয়োজনে মশার নেট ব্যবহার করা হয় প্রয়োজনে মশারির ব্যবহার, মশা রেপেল্যান্টস ব্যবহার করতে হবে।
ডেঙ্গি রোগে আক্রান্ত রোগীকে সঠিক সময়ে চিকিৎসা না করালে তা প্রাণঘাতীও হতে পারে।যদিও ডেঙ্গি প্রতিরোধে ওয়াকিবহাল রয়েছে মুর্শিদাবাদের বিভিন্ন পৌরসভা। ভিন্ন পৌরসভার পক্ষ থেকে ডেঙ্গি মোকাবিলা করার জন্য নানা পদক্ষেপ করা হচ্ছে। এখনও পর্যন্ত বেশ কয়েকজন ডেঙ্গি আক্রান্ত রোগী চিহ্নিত হয়েছে। তবে তাঁরা সুস্থ হয়ে উঠছেন বলেই জানা যাচ্ছে স্বাস্থ্য দফতরের পক্ষ থেকে।
কৌশিক অধিকারী