প্রতিদিন গড়ে তিন থেকে সাড়ে তিন হাজার পর্যটক এলেও শনিবার প্রায় পাঁচ হাজার ও রবিবার আট হাজারের বেশি পর্যটক হাজারদুয়ারি মিউজিয়াম দেখতে এসেছেন বিক্রীত টিকিটের হিসেবে অনুযায়ী। প্রতিদিন জেলা ও জেলার বাইরে থেকে বহু স্কুল পড়ুয়া হাজারদুয়ারি দেখতে আসছেন। অনূর্ধ্ব ১৫ বছরের কিশোর-কিশোরীদের প্রবেশমূল্য না থাকার কারণে পর্যটক সংখ্যা নিদিষ্ট ভাবে বলা যায় না বলে জানানো হয়েছে কর্তৃপক্ষের তরফে।
advertisement
হাজারদুয়ারি প্রাসাদটি পূর্বদিকে পশ্চিম কোঠি নামে পরিচিত, ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের মুর্শিদাবাদে কিলা নিজামতের ক্যাম্পাসে অবস্থিত এটি গঙ্গা নদীর তীরে অবস্থিত। এটি ,ঊনবিংশ শতাব্দীতে বাংলা, বিহার ও উড়িষ্যার নবাব নাজিম হুমায়ুন জাহের রাজত্বকালে স্থপতি ডানকান ম্যাক্লিয়োড দ্বারা নির্মিত হয়েছিল। ব্রিটিশ যুগে বাংলার এক বৈশিষ্ট্যপূর্ণ ঐতিহাসিক নিদর্শন হল হাজারদুয়ারি। বিশালাকার এই প্রাসাদে প্রত্যেকটি হলঘর অনুপম সৌন্দর্যের আলোকে সজ্জিত। বাংলার নবাবি আমলে স্থাপত্যকলার এক উজ্জ্বল প্রতিফলন হল এই হাজারদুয়ারি প্রাসাদ।
আরও পড়ুন : ছেলে পেলেন লটারি! রাতারাতি ‘কোটিপতির বাবা’ রাজমিস্ত্রি নিজের পেশাতেই থাকতে চান
হাজারদুয়ারি প্রাসাদ এখন ভারতীয় কেন্দ্রীয় সরকার দ্বারা নিয়ন্ত্রিত, এখানে দেশ বিদেশের ভ্রমণ পিপাসু মানুষদের জন্য একটি অন্যতম সেরা ঐতিহাসিক নিদর্শন। হাজারদুয়ারিতে অনেক দরজা দৃশ্যমান হলেও এর মধ্যে অনেক দরজা আদপে নকল। অথচ দূর থেকে পুরোপুরি আসল বলে মনে হয়। হাজারদুয়ারির চমক শুধু তার দুয়ারেই না, ঘরগুলোও মনোমুগ্ধকর।তাই একদিনের বা দুইদিনের ছুটি কাটাতে ঘুরে আসতে পারেন হাজারদুয়ারি প্যালেসে।