ইতিমধ্যেই গঙ্গা গর্ভে তলিয়ে গিয়েছে বেশ কিছু কৃষি জমি, একটি শৌচালয় ও কয়েকটি গাছ। প্রায় পাঁচ থেকে সাতটি বাড়িতে ফাটল ধরেছে। বাড়িগুলি গঙ্গাগর্ভে তলিয়ে যাওয়া সময়ের অপেক্ষা। যে কোনও মুহূর্তে তলিয়ে যেতে পারে এলাকার একমাত্র উপাসনালয় কালী মন্দিরও। ফলে প্রাণ ভয়ে বাড়ির যাবতীয় আসবাবপত্র নিয়ে অন্যত্র নিয়ে যেতে শুরু করেছে গোটা গ্রাম। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসে সামসেরগঞ্জ থানার পুলিশ। ভাঙনের আতঙ্কে নতুন করে ফের একবার স্থায়ী সমাধানের দাবিতে সরব হয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
advertisement
আরও পড়ুনঃ পাহাড়ি গ্রাম ঘুরে শুনলেন সমস্যা, সেলফি-ছবি তুলে ধীমালদের মন জয় সায়ন্তিকার
গঙ্গা পদ্মার ভাঙন মুর্শিদাবাদ ও মালদহের জ্বলন্ত সমস্যা। গঙ্গায় জল না বাড়লেও ভাঙন অব্যাহত থাকে প্রায় সারাবছর। জল বাড়লেও ভাঙন শুরু হয় তেমনি জল কমলেও ভাঙে পাড়। গণতান্ত্রিক দেশে ভোট আসে, ভোট যায় কিন্তু ভাঙন সমস্যার স্থায়ী সমাধান কোনওদিন হয় না, আক্ষেপ স্থানীয় বাসিন্দাদের।
প্রসঙ্গত, এর আগে সামশেরগঞ্জের প্রতাপগঞ্জ-সহ বিভিন্ন এলাকায় ভয়াবহ গঙ্গা ভাঙন দেখা গিয়েছে। ভাঙনে গঙ্গা গর্ভে তলিয়ে গিয়েছে বেশ কিছু বাড়িঘর। তলিয়ে গিয়েছে বেশ কয়েক বিঘা জমিও। আশঙ্কায় বাড়িঘর ছেড়ে অন্যত্র পালাচ্ছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। নতুন করে গঙ্গা ভাঙন নিয়ে এলাকায় ব্যাপক আতঙ্ক ছড়িয়েছে। আপাতত যার যা সামগ্রী আছে তা নিয়ে কোনওরকমে পালানোর চেষ্টা করছেন তারা। অবিলম্বে গঙ্গা ভাঙন প্রতিরোধে স্থায়ী সমাধানের দাবিতে সরব হয়েছেন সাধারণ মানুষ।
কৌশিক অধিকারী