হিলোরা গ্রামের শ্যামসুন্দর মন্দির প্রায় ৫০০ বছরের পুরনো। দোলের দিন এখানে রং খেলা হয় না। পাঁচদিন পর পঞ্চম দোলের উৎসবে মেতে ওঠেন গ্রামের সকলে। প্রতিবছর দোলযাত্রার পর কৃষ্ণপক্ষের পঞ্চমী তিথিতে আয়োজিত হয় পঞ্চম দোল। পঞ্চম শব্দটির মধ্যে লুকিয়ে আছে ভক্তিরসের তত্ত্ব। ধর্ম, অর্থ, কাম, মোক্ষকে পেরিয়ে পঞ্চম পুরুষার্থ প্রেমকে স্বীকৃতি দিয়েছিলেন শ্রীচৈতন্যদেব। 'ভক্ত ভেদে রতি ভেদ পঞ্চ পরকার।
advertisement
শাস্ত্র রতি দাস্য রতি সখ্য রতি আর।।
বাৎসল্য রতি মধুর রতি এ পঞ্চ বিভেদ।
রতিভেদে কৃষ্ণভক্তি রস পঞ্চভেদ।।
শান্ত দাস্য সখ্য বাৎসল্য মধুর রস নাম।
কৃষ্ণ ভক্তি রসমধ্যে এ পঞ্চ প্রধান।।'
আরও পড়ুন: দৈত্যাকার মদনটাক দেখে থ সকলে, যদিও আর উড়তে পারবে না সে
অর্থাৎ শান্ত, দাস্য, সখ্য, বাৎসল্য ও মধুর রস। এই দোলের রঙে প্রেমভক্তির পঞ্চরসেরই পাঁচটি গুণের পরিপূর্ণ প্রকাশ ঘটে বলে মনে করা হয়। তাই বলা হয় পঞ্চম দোল উৎসব।
বছরের আর পাঁচটা সময় দেশ-বিদেশে ছড়িয়ে থাকেন এই গ্রামের মানুষ। কিন্তু পঞ্চম দোলের আগে সকলেই এসে হাজির হন গ্রামে৷ হয় দেদার খাওয়া-দাওয়া, আনন্দ-উল্লাস। গ্রামে একদিনের উৎসবে মেতে ওঠেন সকলেই। এই পঞ্চম দোল উপলক্ষে প্রায় ৩০ হাজার ভক্তদেরকে খিচুড়ি ভোগ খাওয়ানো হয়। পাশাপাশি চলে বাউল গান ও কীর্তন পরিবেশন। শুধু মুর্শিদাবাদ জেলা নয়, পার্শ্ববর্তী বীরভূম ও ঝাড়খণ্ড থেকেও বহু ভক্তরা এই সময় উপস্থিত হন শ্যামসুন্দর মন্দিরে। এই উৎসব উপলক্ষে গ্রামে ছোট করে মেলাও বসে।
কৌশিক অধিকারী





