বর্তমান দিনে মহিলাদের স্বর্নিভর হওয়া দরকার, সেই কথা মাথায় রেখে মহিলারা কাজ করে নিজেরা স্বর্নিভর হচ্ছেন। দিনে তিন ঘন্টায় কাজ করে থাকেন মহিলারা। কেউ তৈরি করেন জামা, কেউবা হাফ জ্যাকেট তৈরি করেন। এছাড়াও সিল্কের পাঞ্জাবীও তৈরি করে থাকেন তারা। উন্নত মানের মেশিনে জামা কাপড় তৈরি করে বিক্রি করে থাকেন বিক্রেতারা।
advertisement
আরও পড়ুন: IIT খড়গপুরে চাকরির বিরাট সুযোগ! দেখুন বিস্তারিত
মুর্শিদাবাদ জেলার রঘুনাথগঞ্জে তৈরী হয় এই খাদির পোশাক। স্বাধীনতার সময় খাদি শিল্পের খ্যাতির কথা অজানা নয়। মাঝে সময়ের হাত ধরে কখন যেন পোশাকের ক্ষেত্রে খাদি চলে গিয়েছিল পিছনের সারিতে। পরিবর্তনই সময়ের ধর্ম। তাই এখন আধুনিকতার ছোঁয়ায় খাদি শিল্পে দিশা দেখছে মুর্শিদাবাদের রঘুনাথগঞ্জ।
আরও পড়ুন: তারাপীঠের আদলে মায়ের মন্দির এবার হুগলিতে! সঙ্গে থাকবে নানা চমক
খাদি শিল্পে ব্যবসার প্রসারের অন্যতম কারণ আধুনিক যন্ত্রের ব্যবহার। আধুনিকতার ছোঁয়া লেগে খাদি শিল্প নতুন করে বাঁচার রসদ খুঁজে পেয়েছে। সেই সঙ্গে সরকারি প্রকল্প ‘ন্যাচারাল ফাইবার মিশনে’ সিল্ক ও কটনকে যুক্ত করার ফলে খাদি শিল্পকে ঘিরে তৈরি হয়েছে নতুন সম্ভাবনাও।
সিল্ক ও খাদির থান কাটতে কাঁচির বদলে ব্যবহার হচ্ছে যন্ত্র। খুব দ্রুত এক সঙ্গে ৫০টি থান থেকে পোশাক উপযোগী কাপড় কাটা হচ্ছে। ফলে পোশাক তৈরিতে সময় লাগছে আগের থেকে অনেক কম সময়। যন্ত্রে কাজের সূক্ষ্মতাও বেড়েছে।
আধুনিক পোশাকের সঙ্গে পাল্লা দিতে খাদি শিল্পে কম্পিউটারে তৈরি হচ্ছে আধুনিক নকশা। তারপরে উন্নত মানের মেশিনের সাহায্য তৈরি করে বাজারে বিক্রি হচ্ছে। ফলে আর্থিক ভাবেই স্বর্নিভর হচ্ছেন মহিলারা।
কৌশিক অধিকারী