বহরমপুর শহরের অন্যতম নৃত্য প্রশিক্ষণের সংস্থা পরিচালনা করে অভিজ্ঞান ভট্টাচার্য। তবে একাদশ শ্রেণিতে পাঠরত অবস্থায় থাকাকালীন সে মারণ ক্যান্সার রোগে আক্রান্তের কথা জানতে পারেন। তবে সে থেমে থাকেনি। তার নৃত্যর অদম্য সাহসিকতা ও মানসিকতা কে জয় করে এগিয়ে ছিলেন বলে জানালেন প্রশিক্ষক অভিজ্ঞান ভট্টাচার্য।
আরও পড়ুন: ফিরহাদ হাকিমের কাছে বিরিয়ানি খাওয়ার আবদার মদন মিত্রের
advertisement
আরও পড়ুন: রবিবার ছুটির দিনে সরকারি অফিস খোলা! সোশ্যাল মিডিয়ায় ফের বিস্ফোরক দাবি শুভেন্দু অধিকারীর
অভিজ্ঞান বাবুর কথায়, শেষ দুর্গাপুজোর আগে কথা হয়েছিল । একাধিক শুটিং ও বিভিন্ন অনুষ্ঠান নিয়ে কথা হয়েছিল ঐন্দ্রিলার সঙ্গে। তবে শুধু আমার কাছেই নয়, বহরমপুর শহরের পাপ্পুদার কাছেও নৃত্য প্রশিক্ষণ নিত। আগে অনেক দুর্গাপুজোর অনুষ্ঠানে নৃত্য ও আবৃত্তি পরিবেশন করত। পজেটিভ দিক দিয়ে ভাল পরিবেশন করার চেষ্টা করেছে। আমাদের সমাজের একটা বিষয় নিয়ে মিউজিক ভিডিও তৈরি করা হচ্ছিল। তবে কালীপুজো উপলক্ষে কিছু উদ্বোধন ছিল বেশ কিছু, কিন্তু সেগুলো আর হয়ে ওঠেনি ।
আগে অনেকবার লড়াই করেছিল, আমরা ভেবেছিলাম সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে আসবে। একজন গুণী মেয়ে এই ভাবে চলে গেল। তবে এই ভাবে লড়াই হেরে অকালে ২৪বছরেই ঝরে যাবে ফুল, ভাবতেই পারছেন না নৃত্য প্রশিক্ষক থেকে তার অনুরাদীরা। শেষ বহরমপুর শহরে ঐন্দ্রিলা ও তাঁর বন্ধু সব্যসাচীকে দেখা গিয়েছিল। কথা বলেছিলেন তাদের সঙ্গে। তবে টানা কুড়ি দিন লড়াই করলেও ভেবেছিলাম জয় করে ফিরে আসবে। কিন্তু তার আর হল না। কান্না ভেজা চোখে গলাকাঁপা অবস্থায় স্মৃতি চারণাকরলেন প্রশিক্ষক অভিজ্ঞান ভট্টাচার্য।
কৌশিক অধিকারী