রজত মার্ডি বিএ প্রথম বর্ষের ছাত্র বেশ কিছু দিন ধরে মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন এবং আগেও আত্মহত্যা করার চেষ্টা করে ছিলেন। রজতের দেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যেতেই মা রেনুকা মার্ডি শ্রী গুরু পাঠশালা ভোট দিতে যান তিনি। সেখানে গিয়ে প্রিসাইডিং অফিসারকে অনুরোধ করেন তাকে যেন তাড়াতাড়ি ভোট দিতে দেওয়া হয়। দেহ ময়না তদন্তে যেতেই নিজে ভোট দিয়ে বাড়ি ফিরে শোকাহত হন মা তার সন্তান মৃত্যুতে।
advertisement
আরও পড়ুন: ভারতের থেকে দুবাইয়ে সস্তা সোনা! ট্যাক্সের পরে এই সোনা কিনে কতটা লাভ হয় গ্রাহকের? জানুন
নিজের গণতান্ত্রিক অধিকার রক্ষা করতে এই রকম কাণ্ড দেখে অবাক হন সবাই। তিনি জানিয়েছিলেন একটা ভোটের জন্য যদি দাদা হেরে যান তাহলে নিজেকে ক্ষমা করতে পারবেন না। ছেলে তো চলে গেছে তাকে তো আর কোনদিন ফিরে পাব না । কিন্তু দাদা হেরে গেলে নিজেকে ক্ষমা করতে পারবো না। এরপর ভোটে জেতার পর তার বাড়িতে যান অধীর চৌধুরী এবং তাকে দিদি বলে সম্বোধন করেন তারপর থেকেই ভাইফোঁটার দিন রেনুকার বাড়িতে ফোঁটা নিয়ে যান অধীর চৌধুরী। ২০১৯ সাল থেকে টানা প্রতি বছর ভাই ফোঁটা নেন কংগ্রেস সাংসদ অধীর চৌধুরী। শুধু তাই নয়, রাখী তে এসেও তিনি রাখি পড়ে যান বোনের কাছে। তবে দাদা হিসেবে অধীর চৌধুরী কে ফোঁটা দিতে পেরে খুশি বোন রেনুকা মার্ডি। ঠিক তেমনই ভাতৃত্বের বন্ধনে ফোঁটা নিতে পেরেও খুশি কংগ্রেস সাংসদ অধীর চৌধুরী। অধীর চৌধুরীকে গামছা উপহার দিলেন বোন রেনুকা মার্ডি।
কৌশিক অধিকারী