গয়না পরিষ্কার করে দেওয়ার নাম করে বাড়িতে প্রবেশ করে কৌশলে দুই জায়ের কাছ থেকে প্রায় তিন ভরি সোনা নিয়ে চম্পট দিল অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তি। এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে মুর্শিদাবাদের সুতি থানার কাশিমনগর গ্রামে। নিজেদের সামান্য ভুলে এবং অপরিচিত লোককে বিশ্বাস করে সোনার গয়না হারিয়ে কার্যত কান্নায় ভেঙে পড়েছেন ওই দুই জা। বিষয়টি নিয়ে সুতি থানার পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছেন তাঁরা।
advertisement
জানা গিয়েছে, সুতি থানার কাশিমনগর গ্রামের নিজেদের বাড়িতে রান্না করছিলেন সাফিয়া খাতুন ও জেসমিন খাতুন নামে দুই জা। দু'জনেরই স্বামী ভিনরাজ্যে রাজমিস্ত্রির কাজ করেন। বাড়িতে থাকেন বৃদ্ধ শ্বশুর। পরিবারের সদস্যদের দাবি, এ দিন দুপুর বেলা কাঁধে ব্যাগ নিয়ে অপরিচিত এক ব্যক্তি বাড়িতে আসেন। তার পরেই বাড়ির কাঁসার আসবাবপত্র পরিষ্কার করে দেওয়ার কথা বললে সেই ব্যক্তিকে নিজের গয়না দিয়ে দেন ওই দুই মহিলা। এক শিশুর রুপোর গয়নাও পরিষ্কার করেন ওই অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তি।
আরও পড়ুন: বিয়েটা হবে কিনা জানি না, ঐন্দ্রিলাকে চুমু খাওয়ার ছবি ফেসবুকে, বিস্ফোরক অঙ্কুশ!
আরও পড়ুন: অঙ্কুশ-ঐন্দ্রিলার বিয়ের আগেই ব্রেকআপ? আবীরের মধ্যস্থতায় এ কী বলে বসলেন নায়িকা!
তারপরেই কার্যত সুকৌশলে সোনার গয়না চেয়ে বসেন তিনি। প্রথমে ইতস্তত বোধ করলেও পরে সেই গয়না পরিষ্কার করতে দিয়ে দেন বিড়ি শ্রমিক ওই দুই মহিলা। সঙ্গে দেন একটি কাঁসার গ্লাসও। কিছুক্ষণ পরেই কভার করে কাঁসার গ্লাসটি দুই মহিলাকে ফেরত দিয়ে ২০ মিনিট পর খুলতে বলেন অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তি। তারপরেই কার্যত চম্পট দেয় ওই প্রতারক।
অভিযোগ, কয়েক মিনিটের মধ্যেই কাঁসার খুলতেই সোনার গয়না দেখতে না পেয়ে কার্যত সংজ্ঞা হারান দুই জা। কান্নায় ভেঙে পড়েন তাঁরা। বহু খোঁজাখুঁজি করেও পাওয়া যায়নি ওই প্রতারককে। ভর দুপুরে গ্রামের মধ্যে প্রবেশ করে এভাবে প্রতারণা করে তিন ভরি সোনা নিয়ে চম্পটের ঘটনায় এলাকায় কার্যত শোরগোল সৃষ্টি হয়েছে। পুরো ঘটনার তদন্ত করে দেখছে সুতি থানার পুলিশ।
কৌশিক অধিকারী