TRENDING:

ভয়ঙ্কর! জঙ্গলের মধ্যে ওটা কী! আতঙ্কিত হয়ে যা করল যুবক...দেখলে শিউরে উঠবেন

Last Updated:

রাজ্য প্রাণী হলেও বিপন্ন প্রজাতির প্রাণীর মধ্যে পড়ে এই মেছো বিড়াল বা বাঘরোল। বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইনের সর্বোচ্চ তালিকায় স্থান রয়েছে এই বাঘরোল। ভরতপুরে সাত সকালে দেখা মেলে এই বাঘরোলের।

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
মুর্শিদাবাদঃ ভরতপুর থানার হামিদপুর বাগেশ্বরি মন্দিরের পাশে থাকা একটি জঙ্গলে এই ঘটনায় রীতিমতো আতঙ্ক ও চাঞ্চল্যর সৃষ্টি হয়েছে রবিবার সকালে। গ্ৰামের বাসিন্দারা জানান, সকালে গ্রামের এক যুবক জঙ্গলে আম কুড়াতে গিয়ে অদ্ভুত এই জন্তুটিকে দেখে আতঙ্কিত হয়ে পড়ে তারপর গ্রামের বাসিন্দাদের খবর দিলে সকলের নজরেই পড়ে চিতা বাঘ রূপের ন্যায় এই জন্তুটি। পরে বনদফতরকে খবর দেওয়া হলে গ্ৰামে তল্লাশি চালিয়ে বনদপ্তর এর কর্মী ও গ্ৰামবাসীরা বাঘরোল বা মেছো বিড়াল নামক এই জন্তুটিকে উদ্ধার করে হামিদপুর গ্রামের ভিতর থেকে।
advertisement

বাসিন্দাদের অনেকেই অভিমত পাশেই রয়েছে বাঘেশ্বরী মন্দির। আর এই বাঘেশ্বরী মন্দিরের সঙ্গে বাঘের সম্পর্ক বহু প্রাচীন আমলের, বহু যুগ আগে বাঘের উপর চেপে বাঘেশ্বরী বাবাকে মন্দিরে প্রবেশ করতে দেখা যেত বলে কথিত আছে এলাকায়। আজ বাঘেশ্বরী বাবার কৃপায় এই অলৌকিক ঘটনা ঘটেছে বলেও অনেকে দাবী করছে। আবার ঠিক একই ভাবেই গ্রামে বাঘ ঢুকেছে বলেও আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছিল গ্রাম জুড়ে সকাল থেকেই। আশেপাশে গ্রামের লোকজন ঘটনাস্থলে ভিড় জমিয়েছিল। বহু তল্লাশির পর যদিও অবশেষে উদ্ধার করা হয়েছে বিরল প্রজাতির ওই যন্তুটিকে৷ যার নাম বাঘরোল বলে জানাচ্ছে বনদফতর। যদিও এটি দেখলে সকলেই মনে করবেন বাঘ তবে এটি পশ্চিমবঙ্গের একটি বিলুপ্তপ্রায় প্রাণী যা কৃষি জমিতে বেশিরভাগ দেখা যায় বলে দাবি করেছে বিশেষজ্ঞরা। অত্যন্ত নিরীহ প্রাণী বাঘরোল বা মেছো বিড়াল এমনিতেই বিলুপ্ত প্রজাতির তালিকায় পড়ে গেছে। পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপ্রাণী হিসেবে স্বীকৃত বাঘরোল মাঝে মধ্যে লোকালয়ে ঢুকে পড়ে। খুবই নিরীহ এই প্রাণীকে বাঘ মনে করে মেরে ফেলার ঘটনাও ঘটেছে বেশ কয়েকবার।

advertisement

আরও পড়ুন-আবারও বিপুল পরিমাণে উদ্ধার বোমা ও বিস্ফোরক! চলছে জোরদার তল্লাশি,আতঙ্ক এলাকায়

আরও পড়ুন-জমজমাট বালুরঘাট! কী হচ্ছে ওখানে, ভিড় জমাচ্ছে কাতারে কাতারে মানুষ

রাজ্য প্রাণী হলেও বিপন্ন প্রজাতির প্রাণীর মধ্যে পড়ে এই মেছো বিড়াল বা বাঘরোল। বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইনের সর্বোচ্চ তালিকায় স্থান রয়েছে এই বাঘরোলের। এই প্রাণীকে আঘাত করলেও তাই সর্বোচ্চ শাস্তির বিধান রয়েছে। উচ্চতায় এরা খুব বেশি হয় না। ফুট দু’য়েকের মতো উচ্চতা এবং দৈর্ঘ্য হয় আড়াই থেকে তিন ফুটের মতো। আকারে খুব একটা বড়সড় না হওয়ায় বড় শিকার ধরে খাওয়া এদের পক্ষে সম্ভব হয় না। মাছের অভাবে কোনও কোনও সময়ে ইঁদুর, কাকড়া, ব্যাঙ, শামুক বা অন্য প্রাণী ধরেও এরা খেতে পারে। তবে এরা হাঁস, মুরগি খেয়েছে এমনটা দেখা যায়নি বলে জানান জেলার বনকর্তারা। বন দফতরের কর্তারা জানাচ্ছেন, এদের গায়ে লেপার্ডের মতো ছাপ থাকে বলে অনেকেই বাচ্চা লেপার্ড ভেবেও ভুল করেন। এরা নিশাচর প্রাণী। রাতের বেলায় বার হয়ে শিকার ধরে আবার নিজের আস্তানায় ফিরে যায়।

advertisement

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
পুরীর রথ এবার রঘুনাথপুরে, থিমে মন কাড়ছে আপার বেনিয়াসোলের দুর্গাপুজো মণ্ডপ
আরও দেখুন

কৌশিক অধিকারী

বাংলা খবর/ খবর/মুর্শিদাবাদ/
ভয়ঙ্কর! জঙ্গলের মধ্যে ওটা কী! আতঙ্কিত হয়ে যা করল যুবক...দেখলে শিউরে উঠবেন
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল