কিন্তু টাকা সম্পূর্ণ তোলা হয়ে গেলেও এখনও পর্যন্ত ওই মুখাগ্নি ঘর অসম্পূর্ণ অবস্থায় পড়ে আছে। মাসের পর মাস গ্রামবাসীরা ভেবেছিল তাড়াতাড়ির মধ্যে হয়তো এই মুখাগ্নি ঘর নির্মাণ করা হবে। কিন্তু দুই বছর পেরিয়ে গেলেও এখনও পর্যন্ত অর্ধ নির্মিত অবস্থায় রয়ে গিয়েছে ঘরটি। দুই বছর অতিক্রান্ত হয়ে গেলেও কেন এখনও পর্যন্ত শেষ হলো না এই নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন সাধারণ মানুষ। অন্যদিকে অসুবিধা সম্মুখীন হতে হচ্ছে শবদাহ নিয়ে আসা শ্মশান যাত্রীরা।
advertisement
আরও পড়ুনঃ ইঁট ভাটাতে কাজ করতে গিয়ে মর্মান্তিক পরিণতি! আগুনে পুড়ে প্রাণ গেল শ্রমিকের
মুখাগ্নি ঘর সমাপ্ত করার জন্য গ্রামবাসীরা বারবার নেতা থেকে বিডিও সকলের কাছেই অভিযোগ জানিয়েছেন। কিন্তু কোন ফল হয়নি বলেই অভিযোগ। ২০২০ সালের ডিসেম্বর মাসে ঘরটি নির্মাণ করার কথা থাকলেও মুখাগ্নি ঘরটি অর্ধ সমাপ্তই রয়ে গিয়েছে। এক এক বার নয় বহুবার বিডিও মনিশ নন্দী কে জানানো হয়। পাশাপাশি তাকে লিখিত অভিযোগও করেন গ্রামবাসীরা। তাতেও ফল কিছুই হয়নি। তাই গ্রামবাসীরা ঠিক করেছে তারা নিজেরাই চাঁদা তুলে মুখাগ্নির ঘরটির কাজ সমাপ্ত করবেন।
আরও পড়ুনঃ দিল্লিতে পরিযায়ী শ্রমিকের মৃত্যু! দেহ নিয়ে আসতে চাঁদা তুলছেন গ্রামের বাসিন্দারা
মুখাগ্নি, ঘরটিকে নিয়ে ইতিমধ্যেই রাজনীতির রং লেগেছে। রাজনীতির নেতারা একে অপরের উপর দোষ চাপিয়ে ভোট বৈতরণী পার হতে চাইছেন। বড়ঞা কংগ্রেসের ব্লক সভাপতি মহিদুল ইসলাম পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছেন অতি দ্রুত এই কাজ শেষ করতে হবে। যদি তা না হয় তাহলে তারা পথে নামবেন। তাতেও যদি কাজ না হয় তাহলে বৃহত্তর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি। অন্যদিকে পঞ্চায়েত সমিতির পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ মাহে আলম গ্রামবাসীদের কে আশ্বাস দিয়েছেন তিনি এই ব্যাপারটি খতিয়ে দেখবেন।
Koushik Adhikary