আজও গোটা গ্রামে বসে মেলা সারা রাত জুড়ে হয় নানা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। কাগ্রাম একটি প্রাচীন গ্রাম ২৯ পাড়ার এই গ্রামে বর্তমানে মোট ২৯ টি পুজো হয় যার চল্লিশ শতাংশ মুসলিম অধ্যুষিত এই গ্রামে। বর্তমানে ১৩টি হয় পারিবারিক ও বাকি সব বারোয়ারি সার্বজনীন জগদ্ধাত্রী পুজো। তবে এখানে চারদিন ধরে পুজো হয়না, পুজো চলে মাত্র দু দিন। পঞ্জিকা মতে একই দিনে সপ্তমী, অষ্টমী ও নবমী পূজো হয় পরের দিন দশমী। বুধবার তিনটি পুজো ও বৃহস্পতিবার হল দশমী পূজো।
advertisement
আরও পড়ুনঃ প্রথা মেনে বড়ঞার রামকৃষ্ণ আশ্রমে চলছে জগদ্ধাত্রীর আরাধনা
গ্রামে পুজো কে কেন্দ্র করে অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে মোতায়েন ছিল পুলিশ বাহিনী। প্রায় ৫০০ পুলিশ কর্মী মোতায়েন আছে ঠিক তেমনই সিসিটিভি ক্যামেরায় মুড়ে ফেলা হয়েছে গোটা গ্রাম।গ্রামের বাসিন্দারা জানান, এই গ্রামে পুরাতন রীতিনীতি মেনে পুজো অনুষ্ঠিত হয় তেমনি, পাল বাড়ি, মহাশয়বাড়ি সহ দক্ষিণপাড়া সাহাপাড়া মন্ডপ, মধ্যে পশ্চিম পাড়া সার্বজনীন, তাঁতি পাড়া সার্বজনীন, রায়পাড়া সার্বজনীন, উত্তরপাড়া বাজার পাড়া সার্বজনীন পুজোয় বলি বিশেষ বৈশিষ্ট্যের দাবি রাখে।
আরও পড়ুনঃ জগদ্ধাত্রী পুজোর নজরকাড়া আলোকসজ্জা কাগ্রামে! ভিড় দর্শনার্থীদের
গ্রামের বেশিরভাগ পুজো দুই শতাধিক বছরের বেশি পুরাতন। সাক্ত এবং বৈষ্ণব দুই মতেই এই গ্রামের পুজো গুলি হয়। পাশাপাশি গ্রামগুলি থেকে হাজার হাজার মানুষ জমায়েত হত আমাদের গ্রামে এখনো তার ব্যতিক্রম হয় না। এখনো পুজো দুদিন গ্রামে বসে মেলা অনুষ্ঠিত হয় নানা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। যাত্রাপালা নাটক ইত্যাদি পুজো শেষে প্রতিমা নিরঞ্জন হয়, একসঙ্গে বসবাস করে এই পুজোয় গ্রামের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষও আনন্দ উপভোগ করে। গ্রামের বাসিন্দারা থেকে দুর দুরন্ত থেকে আশা দর্শনার্থীরা শারদীয়া দুর্গাপুজোর পর জগদ্ধাত্রী পুজো মেতে ওঠে গ্রামবাসীরা।
Koushik Adhikary