আরও পড়ুন: লকগেট ২৫ বছর ধরে ভাঙা, নিকাশির সমস্যায় নাজেহাল গ্রামের মানুষ
১৭৭২ সালের ২২ মে খানাকুলের রাধানগর গ্রামে জন্ম গ্রহণ করেছিলেন রামমোহন রায়। কুসংস্কারাচ্ছন্ন ভারতে তিনি পাশ্চাত্য শিক্ষা ও জ্ঞানের আলো আনার পাশাপাশি কুসংস্কারের বিরুদ্ধে প্রবল প্রতাপে লড়াই করেছিলেন। সতীদাহের মতো ভয়ঙ্কর প্রথার অবসান তাঁর হাত ধরেই হয়। তার এই কৃতিত্বের জন্য ব্রিটিশ রাজ রামমোহন রায়কে রাজা উপাধিতে ভূষিত করে। সাহিত্য, ধর্ম, শিক্ষা বিজ্ঞান, সমাজ নীতি, রাষ্ট্রনীতি সবক্ষেত্রেই আপামর ভারতবাসীকে আধুনিকতার পাঠ দিয়েছিলেন রাজা রামমোহন রায়। স্বয়ং রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তাঁকে ‘ভারত পথিক’ বলেছিলেন। তাঁকে আধুনিক ভারতের জনক বলার মধ্যেও কোনও অত্যুক্তি নেই।
advertisement
১৮২৯ সালের ৪ ডিসেম্বর যেদিন গভর্নর জেনারেল বেন্টিঙ্ক আইনের মাধ্যমে সতীদাহ প্রথাকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেন সেদিনই শুরু হয়েছিল ভারতীয় সমাজের এক নতুন অধ্যায়। মুর্শিদাবাদের কান্দি পুরসভার পক্ষ থেকে ইতি মধ্যেই গ্রিন সিটি মিশনের অধীনে শহরের সৌন্দর্য্যয়ন করা হচ্ছে। সেই প্রকল্পেই অন্যান্য মনিষীদের পাশাপাশি রাজা রামমোহন রায়ের পূর্ণাবয়ব মূর্তির উদ্বোধন করা হয় এক বছর আগে। তাঁর জন্মদিবস উপলক্ষে সেই মূর্তিতেই শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।
কৌশিক অধিকারী





