একসময় মালদহ জেলার রতুয়া , পুরাতন মালদহ , হরিশ্চন্দ্রপুর সহ বিভিন্ন এলাকায় জলাভূমিতে শোলা গাছ জন্মাতো। জলজ এই উদ্ভিদ জলাভূমিতে নিজে থেকেই জন্মাতো। তবে বর্তমানে মাছ ও মাখনা চাষের জেরে জলাভূমি গুলি পরিষ্কার করে দেওয়া হচ্ছে। এতে আগের তুলনায় শোলা অনেক কম উৎপাদন হচ্ছে। বাজারে চাহিদা থাকলেও উৎপাদন কম হওয়ায় পর্যাপ্ত পরিমাণে মিলছে না শোলা। তাই দিনের পর দিন ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে শোলার দাম।চলতি মরশুমে মালদহ জেলায় বৃষ্টিপাতের পরিমাণ খুবই সামান্য। বর্ষা প্রায় শেষ হতে চলেছে। এখনো পর্যন্ত বৃষ্টিপাতের তেমন দেখা নেই।
advertisement
বৃষ্টি না হওয়ায় যে সমস্ত জলাভূমি গুলিতে এখনো শোলা গাছ হত সেগুলি শুকিয়ে রয়েছে। জল না হওয়ায় শোলার জন্মাতে পারেনি। তাই এবার মালদহ জেলার শোলা সংগ্রহকারীরা সমস্যায় পড়েছেন। তারা চলতি মরশুমে জেলার বাইরে থেকে শোলা সংগ্রহ করে নিয়ে আসছেন। উত্তর দিনাজপুর ও পশ্চিমবঙ্গ বিহার সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে শোলা নিয়ে আসছেন সংগ্রহকারীরা। তবে সেই শোলার মান ভালো নয়, বৃষ্টিপাত সঠিক পরিমাণে না হওয়ায় শোলা গাছ ঠিকমতো হয়নি।
আরও পড়ুনঃ বৃদ্ধ দম্পতির ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার! মৃত্যুর কারণ নিয়ে ধোঁয়াশা
চলতি বছর বাজারের তিন থেকে চারগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে শোলার দাম। আগে এক বোঝা শোলার দাম ছিল দুই হাজার টাকা। এবছর এক বোঝা শোলার দাম সর্বোচ্চ পাঁচ হাজার টাকা পর্যন্ত ধরে বিক্রি হচ্ছে। ভালো মানের শোলা সবথেকে বেশি দাম। উপায় না থাকায় বাধ্য হয়েই শিল্পীরা চড়া দামে কিনছেন। হাট থেকে কাঁচা শোলা কিনে নিয়ে গিয়ে রোদে শুকিয়ে রেখেদেন শিল্পীরা। সারা বছর সেই শোলা দিয়ে বিভিন্ন সামগ্রী তৈরি করেন।
আরও পড়ুনঃ আগামী শিক্ষাবর্ষ থেকেই শুরু পঠন পাঠন মালদহ মেডিকেলে
বর্তমানে শোলার এতটাই অভাব ঠিকমতো কাজ করতে পারছেন না শিল্পীরা। তবে উপায় নেই এখন আর অন্য কাজের সাথে যুক্ত হতে পারছেন না তারা। তাই বাধ্য হয়েই চড়া দাম হলেও শোলা কিনে তা দিয়ে বিভিন্ন সাজ তৈরি করে জীবিকা নির্বাহ করে যাচ্ছেন। নবাবগঞ্জের হাট জেলার বিভিন্ন ঐতিহ্য বহন করে। সেগুলির মধ্যে অন্যতম শোলা বাজার। এখনো শোলার টানে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বহু মানুষ নিয়মিত আছেন এই হাটে।
Harahit Singha