মালদহ জিআরপি থানার পুলিশের পক্ষ থেকে স্টেশনের বিভিন্ন প্রান্তের দেওয়ালে নিখোঁজ কিশোরের ছবি লাগানো হয়েছে। তারপরেও এখনো কোন খোঁজ মিলছেনা।পরিবার ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে নিখোঁজ কিশোরের নাম মনিরুদ্দিন(১৬)। বাড়ি আসামের নওগাঁও জেলার কলিয়াবর থানা এলাকায়।জানা গিয়েছে দিদি নাজিমা খাতুন ও জামাইবাবু রফিকুল ইসলামের পরিবারের সাথে কেরালায় কাজে যাচ্ছিল। গত ৯ অক্টোবর আসামের হোজাই স্টেশন থেকে কন্যাকুমারী এক্সপ্রেস ট্রেনে ওঠে। ১০ অক্টোবর মালদহ টাউন স্টেশনে পৌঁছায় ট্রেনটি। পরিবারে মোট পাঁচ জন সদস্য ছিল।
advertisement
আরও পড়ুন : 'চাকরি' চাই! বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের দেখানো 'পথে' ১ দিনে ১৪০০ মামলা হাইকোর্টে
মালদহ টাউন স্টেশনে ট্রেন পৌঁছানোর পর একসঙ্গে সকলেই খাওয়া দাওয়া করে। পরিবারের পাঁচ সদস্যদের টিকিট কনফার্ম ছিলনা। টিটি তাদের টিকিট করে দেয়। তবে পরিবারের সকলের থেকে আলাদা কামরায় ছিল ওই কিশোর। ট্রেন ছাড়ার আগের মুহূর্তে লাজিমা খাতুন লক্ষ্য করেন তার ভাই ট্রেনে নেই। তারপর থেকে শুরু করে খোঁজা খুঁজি। ভাইকে ট্রেনে খুঁজে না পেয়ে মালদহ টাউন স্টেশনে নেমে পড়ে। খোঁজ করে তারপরও খোঁজ না মেলায় মালদহ জিআরপি থানায় লিখিত অভিযোগ করে। ৫ দিন কেটে গেল এখনো ভাইয়ের কোন খোঁজ মেলেনি। তাই পরিবারের সকলকে নিয়ে মালদহ টাউন স্টেশনেই বসে রয়েছে সকলে। নাজিমা খাতুন বলেন, আমার ভাই একা কোথাও যেতে পারবে না কারণ ওর কাছে টাকা পয়সা নেই। আমাদের প্রাথমিক ধারণা আমার ভাইকে কেউ অপহরণ করে কোথাও নিয়ে চলে গিয়েছে। ভাইয়ের অপেক্ষায় পরিবার নিয়ে মালদহ টাউন স্টেশনে বসে রয়েছে দিদি। দুই সন্তান রয়েছে সাথে। এদিকে শেষ হয়ে আসছে টাকা। এমন অবস্থায় কি করবে বুঝতে পারছে না। তবে ভাইকে ফিরিয়ে পেতে মরিয়া দিদি জামাইবাবু।
হরষিত সিংহ