আরও পড়ুন: গাছ কাটার সময় দুর্ঘটনা! চাপা পড়ে মৃত্যু শ্রমিকের
রতুয়ার এই স্কুলেই পড়াশোনা করেছেন স্থানীয় বিধায়ক সমর মুখার্জি। নদী ভাঙন এতটাই ভয়াবহ হয়ে উঠেছে যে খোদ বিধায়কের পড়াশোনা করা স্কুলের অস্তিত্ব এখন বিপন্ন। যদিও নিজের স্মৃতি বিজড়িত স্কুল বাঁচাতে আপ্রাণ লড়াই লড়ছেন প্রবীণ সমর মুখার্জি। মালদহের রতুয়া-১ ব্লকের মহানন্দাটোলা পঞ্চায়েতে অবস্থিত এই কাটাহা দিয়ারা হাইস্কুল। ১৯৪৯ সালে এই স্কুলটি প্রতিষ্ঠিত হয়। এলাকার একমাত্র স্কুল এটিই।
advertisement
রতুয়ার বিভিন্ন এলাকায় গত কয়েক বছরে ব্যাপক আকার ধারণ করেছে গঙ্গার ভাঙন সমস্যা। এক সময় গঙ্গা বিহারের রাজমহল পাহাড়ের পাদদেশ দিয়ে বয়ে যেত। ২০ বছর আগেও এই স্কুল থেকে গঙ্গার দূরত্ব ছিল প্রায় ৩০ কিলোমিটার! গঙ্গা পাড় ভাঙতে ভাঙতে ক্রমশ এগিয়ে আসায় সেই দূরত্ব বর্তমানে মাত্র ২০০ মিটারে এসে দাঁড়িয়েছে। স্কুলের ভারপ্রাপ্ত শিক্ষক পলাশ মুখোপাধ্যায় বলেন, যে হারে নদীর পাড় ভাঙছে তাদের যেকোনও সময় এই স্কুলটা তলিয়ে যেতে পারে। প্রশাসন সাহায্যের হাত বাড়িয়ে না দিলে কিছুই করা সম্ভব নয় বলে তিনি জানান।
ইতিমধ্যে স্কুল বাঁচানোর অপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে স্কুল কর্তৃপক্ষ থেকে গ্রামের বাসিন্দারা। কারণ এই অঞ্চলের পড়াশোনার একমাত্র ভরসা এই স্কুলটি।স্কুল সূত্রে জানা গিয়েছে, বর্তমানে স্কুলে পড়ুয়া সংখ্যা প্রায় ২,৭০০। দীর্ঘ প্রায় ৭৫ বছরের নথি রয়েছে স্কুল অফিসে। গঙ্গা ভাঙনের কবলে পড়ে এই স্কুল বিলীনহলে নথিপত্র সমস্ত কিছুই নষ্ট হয়ে যাবে। ইতিমধ্যে স্কুল ভবন বাঁচানোর চেষ্টা শুরু হয়েছে। প্রশাসনের সহযোগিতা চেয়ে স্কুলের পক্ষ থেকে আবেদনও করা হয়েছে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত কেউ কোনও সাড়া দেয়নি বলে অভিযোগ।
হরষিত সিংহ